- Home
- India News
- স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাহিনীর জন্য একাধিক বিধিনিষেধ, রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত মাত্র ৯০
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাহিনীর জন্য একাধিক বিধিনিষেধ, রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত মাত্র ৯০
- FB
- TW
- Linkdin
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ অন্যান্য ভিআইপিরা উপস্থিত থাকবেন। তাই করোনা আবহে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া-সহ যে সব অনুষ্ঠান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে হয়ে থাকে, সেখানে সোশ্যাল দূরত্ব মেনে চলা কঠিন। সেই কারণেই কর্তৃপক্ষ চলতি বছর স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এ বারের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। লালকেল্লায় সেনাবাহিনী, নৌসেনা, বায়ু সেনা ও দিল্লি পুলিশের সব আধিকারিকদের জন্য নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁদের শুধুমাত্র মহড়া সেরেই বাড়ি ফিরতে বলা হয়েছে।
যাঁরা স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে তাঁদের পরিচারক, রাঁধুনি ও চালকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের যে ৩৫০ জন কর্মী কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের নতুন পুলিশ কলোনিতে রাখা হয়েছে। আর্মড ফোর্সের স্পেশ্যাল কমিশনার অফ পুলিশ রবিন হিবু দিল্লি পুলিশের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে রয়েছেন।
দিল্লি পুলিশের যে ৩৫০ জন কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন তাঁদের কারও এখনও কোভিড ১৯-এর কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি।
অতিমারীর সঙ্গে যখন লড়াই চলছে দেশজুড়ে তখন স্বাধীনতা উদযাপনের অনুষ্ঠানে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি না কর্তৃপক্ষ। খুব কম সংখ্যক লোকই উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলা হয়েছে রাজধানী।
স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রতিবছরই রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত হয় 'অ্যাট হোম' অনুষ্ঠান। এবছর সেই অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হবে দেশের করোনা যোদ্ধারা। জানা গিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রণ পেতে পারেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং চিকিত্সকরা। এখানেই শেষ নয়। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে চিরাচরিত নিয়মে যে এলাহি আয়োজন করা হয়, করোনার দাপটে তার উপরেও পড়বে কোপ।
এবছর আমন্ত্রণ পাবেন না কোনও ভিআইপি-র স্বামী অথবা স্ত্রী, থাকবে না লাইভ খাবারের কাউন্টার, উপস্থিত থাকবেন না কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামী। বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে অবাধ আলাপ-আলোচনার সুযোগও থাকবে না।
সাধারণত, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিত থাকেন প্রায় ১৫০০ জন বিশিষ্ট অতিথি। তবে এবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এই সংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ৯০ জনে। আড়াই ঘন্টার এই অনুষ্ঠান কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ১ ঘন্টায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপতি ভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের রীতি বজায় রাখতেই এবার সব আয়োজন করা হবে। বাড়তি সবকিছুই বাদ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আমন্ত্রণ পাবেন প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রকের কেবিনেট কমিটির সদস্যরা। উপস্থিত থাকবে মন্ত্রিসভার কয়েকজন প্রবীণ মন্ত্রীও। মন্ত্রীদের তালিকা ১০-এর বেশি না যাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।
ঠিক এভাবেই জুডিশিয়ারি থেকে আমন্ত্রণ পাবেন শুধুমাত্র ভারতের প্রধান বিচারপতি শরদ এ বোবদে, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল্যান্ড এবং শীর্ষ আদালতের হাতে গোনা কয়েকজন প্রবীণ আইনজীবী।
নিমন্ত্রিত আমলাদের তালিকাতেও করা হবে বিস্তর কাটছাঁট। গত বছর আমন্ত্রিত ছিলেন ৭০ জন আমলা। এবছর মাত্র ১০ জনের কাছে যাবে নিমন্ত্রণ। তবে তাঁরা সঙ্গে আনতে পারবেন না স্বামী অথবা স্ত্রীকে। মন্ত্রিসভার সচিব এবং কয়েকজন সিনিয়র সচিবই আমন্ত্রণ পাবেন অ্যাট হোম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার।