সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি কমলা হ্যারিসকে মার্কিন ফার্স্টলেডি বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই ঘটনা রীতিমত ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারররেশ কাটতে না কাটনেই নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট- মানেই হল ধোপদস্তুর পোশাক পরা ঝকঝকে কোনও এক ব্যক্তি। যিনি হোয়াইট হাউসে থাকেন। তাঁর শ্যুট-বুটে কোনও রকম ধুলোবালি আঁচড় কাটতে পারে না। কিন্তু সেখানেই বাইডেনের শ্যুট নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল নেটদুনিয়া। মনে হচ্ছে তো কী এমন হয় যে যুদ্ধ, আর্থনৈতিক সংকট এইসব ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৃষ্টি এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের শ্যুটের দিকে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে একটি সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। গ্যাসের দাম গ্যালনপ্রতি ১০ কমানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। বাইডেনের পরিচ্ছন্ন শ্যুটে আঁচড় সাদা দাগকে আঁচড় কাটতে দেখা যায়। যা নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন আচমকা এই দাগটি কী করে তৈরি হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে বাইডেনের ভাষণের একটু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন বাইডেনের জামায় কোনও পাখি মলত্যাগ করতে পারে। অনেকেই ভিডিওটি নিয়ে রসিকতা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে আমি বা আপনি রাস্তায় বারহলে আমাদের এমন পরিস্থিতির মধ্যে প্রায়ই পড়তে হয়। কিন্তু তাবলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকেও এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তা বোধহয় কেউ-ই ভাবেননি। কারণ তাঁর নিরাপত্তাই যে আলাদা। বিশ্বের যে কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের থেকে কয়েক গুণ বেশি। সেই অতন্দ্র প্রহরীদের চোখ গলে পাখি কিনা মলত্যাগ করল বাইডেনের কাচা শ্যুটে ? তা নিয়েতো আলোচনা হবে। কিন্তু ভিডিওটিতে একটি জিনিস পরিষ্কার যে বাইডেন এই ঘটনার পর একটুও না থেমে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন।
ডেইলিমেলের খবরে বলা হয়েছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই নিয়ে তেমন কিছু জানাননি। তবে তিনি বলেছেন যেখানে এই ঘটনা সেখানে পাখি আসার কথা নয়। তাহলে কীসের দাগ যা নিয়ে তোলপাড়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অংশের স্পষ্ট ধারনা যে বাইডেন যখন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন শ্যুটে কোনও পাখি আচমকা মলত্যাগ করেছে। কারণ পাখিদের কোনও দেশ, সীমারেখা নেই। পাখিরা ইচ্ছেমত সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে পারে।