প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টইতিহাস গড়েছেন কমলাজাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণেই ভাসলেন ভারত আবেগেকৃতজ্ঞতা জানালেন মা শ্যামলা গোপালান হ্যারিস-কে 

মার্কিন নির্বাচনের ভোট গণনার সময় হিন্দু সেনাকে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্পের জয় চেয়ে উত্তরপ্রদেশে যজ্ঞ করতে। একই সময়ে বাইডেন-হ্যারিস জুটির জন্য প্রার্থনায় বসেছিল চেন্নাইয়ের কাছের এক গ্রাম থুলসেন্দ্রপুরম। এই গ্রামেই আমেরিকার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মামাবাড়ি। ইতিহাস গড়েই সেই শিকড়কে শ্রদ্ধা জানালেন কমলা।

ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে তিনি গর্ব সহকারে তুলে ধরেছেন তাঁর ভারতীয় যোগের কথা। বলেছেন, তিনি যে আজ মার্কিন প্রশাসনের দুই নম্বর আসনে, তার পিছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল তাঁর মা, শ্যামলা গোপালান হ্যারিস-এর। মাত্র ১৯ বছর বয়সে শ্যামলা গোপালান ভারত থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন। বিবাহ করেন এক জামাইকান অভিবাসীকে। কমলা বলেছেন, সেই সময় তাঁর মা সম্ভবত কল্পনাও করতে পারেননি যে তাঁর মেয়ে একদিন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারে। তবে আমেরিকায় যে সবার জন্য সম্ভাবনা রয়েছে, সেই বিষয়ে গভীর বিশ্বাস ছিল তাঁর।

মা শ্যামলা গোপালান হ্যারিস-এর সঙ্গে ছোটবেলায় নয়া মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কমলা হ্যারিস

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মহিলা তিনি। কিন্তু, তাঁর এই ইতিহাস একার কৃতিত্ব নয়। কমলা স্মরণ করেছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়, শ্বেতাঙ্গ, লাতিন, আদি মার্কিন মহিলাদের কথা। জানান, তাঁদের সকলের অবদানই তাঁর প্রথম মহিলা হিসাবে এই পদে বসার পথটা সুগম করেছে। পরবর্তীকালে এরকম আরও অনেক মহিলা আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Scroll to load tweet…

তবে এই প্রথম তাঁর ভারত-যোগের কথা তুলে ধরলেন কমলা, তা নয়। জো বাইডেন যেদিন তাঁকে তাঁর ডেপুটি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন, কমলা হ্যারিস সেইদিনই তাঁর ভারতীয় শিকড়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন শৈশব তাঁর তামিলনাড়ু ভ্রমণের কথা। জানিয়েছিলেন তাঁর 'চিতি'রা (মাসি) তাঁকে কীভাবে সমর্থন জুগিয়েছিলেন।

জয়ের পর ডেলাওয়ারে উচ্ছ্বসিত কমলা হ্যারিস

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টুইটারে কমলাকে সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে উলেলেখ করেছেন তাঁর 'চিতি'দের কথা। বলেছেন, কমলার সাফল্য শুধু তাঁর চিতিদের জন্যই নয়, সমস্ত ভারতীয়-মার্কিন জনজাতির জন্যই অত্যন্ত গর্বের বিষয়।