মূক-বধিরদের জন্য় নয়া আবিষ্কার, 'কথা বলতে পারবেন' বিশেষভাবে অক্ষমরা
মূক-বধিরদের মনের ভাব প্রকাশ্য়ে নিয়ে আসতে এলো যন্ত্র। এবার থেকে এই যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই সাধারণ মানুষের কথা বুঝতে পারবেন তাঁরা। পাশাপাশি যন্ত্রের মাধ্য়মেই রয়েছে কথার উত্তর দেওয়ার সুযোগ। একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন হাতে পেলেই কেল্লা ফতে।
মূক-বধিরদের মনের ভাব প্রকাশ্য়ে নিয়ে আসতে এলো যন্ত্র। এবার থেকে এই যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই সাধারণ মানুষের কথা বুঝতে পারবেন তাঁরা। পাশাপাশি যন্ত্রের মাধ্য়মেই রয়েছে কথার উত্তর দেওয়ার সুযোগ। একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন হাতে পেলেই কেল্লা ফতে।
অতীতেও এই সম্স্যায় পড়তে হয়েছে মূক ও বধিরদের। যার জেরে দীর্ঘদিন মনের কথা রয়ে গেছে মনে। বিশেষ আকার ইঙ্গিতের মাধ্য়মে 'সমগোত্রীয়দের সঙ্গে' কথা বলতে পারলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বলা যাচ্ছিল না কথা। যার ফলে সমাজে নিজের ভাব প্রকাশে সম্মুখীন হতে হচ্ছিল তাঁদের। যদিও এবার আর সেই সবের সম্স্যায় পড়তে হবে না মূক-বধিরদের। কারণ বর্ধমানের কালনার এক বাসিন্দার দৌলতে এসে গেছে ' কমিউনিকেশন মেথড ডিভাইস '|
যার আবিষ্কারক গোবিন্দ মন্ডল | পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী গৌবিন্দবাবু জানান, ২০০৪ সাল নাগাদ কালনাতে তার কাছে এক মূক-বধির ছাত্রী এসেছিলেন। সেই সময় তাঁর কথা বুঝতে পারেননি তিনি। তখন থেকেই ভাবনা শুরু। ভেবেছিলেন,এমন কিছু করতে হবে যাতে মূক-বধিররাও তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। গৌবিন্দবাবুর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ২০২০ সালে তৈরি হয়েছে ' কমিউনিকেশন মেথড ডিভাইস '। জানা গেছে, আদতে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কলকাতায়। থাকেন গৌবিন্দবাবু। ইতিমধ্যেই পেটেন্ট পেয়েছে গোবিন্দবাবুর এই আবিষ্কার।
প্রশ্ন জাগে, কী করে কাজ করে গৌবিন্দবাবুর এই আবিষ্কার? আবিষ্কারক জানিয়েছেন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাথে দুটি অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে | মাইক্রোফোন এবং স্পিকারের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ইনস্টল করা হয়েছে একটি ভয়েস সফটওয়্যার। মাইক্রোফোনে কথা বললে মোবাইলে স্ক্রিনে সেই কথা লেখা চলে আসবে ঐ অ্য়াপসের মাধ্য়মে। মোবাইলে সেই লেখা পড়ে মূক ও বধিররা খুব সহজেই তা বুঝতে পারবে। পরে ওই অ্যাপসের মাধ্যমেই উত্তর দিতে পারবেন তাঁরা। তা স্পিকারে সাউন্ড সিস্টেমে শুনতে পারবেন প্রশ্নকর্তাও।
এ বিষয়ে গোবিন্দবাবু বলেন, সমস্ত ভাষাতে কাজ করবে তার এই যন্ত্র। এদিন কালনার মূক-বধির মহিলা চন্দ্রানী সাহাকে এই যন্ত্র দেন তিনি। নিজেই শিখিয়ে দেন ব্য়বহারিক পদ্ধতি। সম্প্রতি তার বিয়ে হবে মূক-বধির পাত্র সোমনাথ মাঝির সঙ্গে | তাকেও তিনি এই যন্ত্র দেবেন বলে জানিয়েছেন গোবিন্দবাবু। তাঁর আশা, বিবাহিত জীবনে তাদের চলার পথ অনেক সহজ হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। তারা কথা বলতে পারবেন, নিজেদের ভাব বিনিময় করতে পারবেন। ফলে আগামী দিনে নীরবতা থেকেই জন্ম নেবে নতুন ভাষা।