রাধিকা আপ্তে কে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট-এর পরামর্শ, বেজায় রেগে যান অভিনেত্রী!
এই মুহূর্তে বলিউড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অন্যতম ব্যস্ত ও জনপ্রিয় নায়িকা রাধিকা আপ্তে। তাঁর অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে সবাই অবগত। পার্চড, ফোবিয়া, সেক্রেড গেমসের মতন ছবি তে অভিনয় করে সমালোচক দেরও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর বিপরীতে 'রাত আঁকেলি হ্যাঁ' ছবি তে।তিনি বরাবরই সাহসী ও স্বচ্ছন্দ যে কোনো চরিত্রেই। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজে কে অনায়াসেই ভাঙতে ও গড়তে পারেন। সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউ তে এসে তিনি জানান তাঁকে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট ও বোটক্স ইনজেকশন নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এবং এতে ভীষন রকম রেগে যান তিনি।
এই মুহূর্তে রাধিকার আগাম ছবি বিক্রান্ত মেসির বিপরীতে 'ফরেনসিক'। গতকালই ছবি টির ট্রেলার রিলিজ করে। এবং ট্রেলার থেকে যথেষ্ট ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে দর্শক দের কাছ থেকে। ছবির বিষয়ে কথা বলতে গতকাল একটি এন্টারটেইনমেন্ট পোর্টালে একটি চ্যাট- শোয়ে আসেন অভিনেত্রী এবং বিক্রান্ত, সেখানেই কথা প্রসঙ্গে রাধিকা জানান, যে কেরিয়ারের একদম শুরু তে তাঁকে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বদল আনার জন্য বিভিন্ন রকম সার্জারির পড়ামর্শ দেয়া হয়। তাঁকে নাকি 'ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট' করাতে বলা হয়।
স্নেহা মেনন দেশাই এর চ্যাট শো 'স্পিল দ্য টি' তে আসেন রাধিকা ও বিক্রান্ত। তাঁদের জিগেস করা হয় যে কিভাবে তাঁরা তাঁদের ফিগার কে মেন্টেন করেন এবং সবসময় নিজের সুন্দর লুক টা কে মেন্টেন করার জন্য ঠিক কি রকম প্রেসার তাঁদের থাকে? এই প্রশ্নের জবাবে রাধিকা জানান, যে কেরিয়ারের শুরু তে তাঁকে 'ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট' করতে বলা হয়েছিল, শুধু তাই নয় তাঁকে বোটক্স ইনজেকশন নেয়ার কথা বলা হয়। রাধিকা জানান এগুলো কথাতে এতে তিনি ভীষন রেগে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন যে ' যখন আমি নতুন নতুন অভিনয় শুরু করি তখন আমাকে আমার শরীরে এবং মুখে বিভিন্ন রকম সার্জারি করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়, প্রথম মিটিং এ আমাকে প্লাস্টিক সার্জারি করে আমার নাকের গঠন বদলাতে বলা হয়, দ্বিতীয় মিটিং এ আমাকে 'ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট' করতে বলা হয়, তারপরে এরকম কথা চলতেই থাকে, এরপর আমাকে আমার পায়ে এবং চিবুকে কিছু বদল আনার পরামর্শ দেয়া হয়,তারপর গালে এবং তারপর আমাকে বোটক্স ইনজেকশন নিতে বলা হয়।' তিনি আরও বলেন 'চুলে কালার করলামই প্রায় তিরিশ বছর পর, আমি একটা সাধারণ ইনজেকশন ও নিতে যাইনা, আর আমি কিনা এসব করবো! এগুলো ব্যাপার আমাকে কখনোই চাপ সৃষ্টি করেনি বরং আমার মধ্যে রাগের জন্ম দিয়েছে, বরং আমার শরীর কে আমায় বেশি করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, আই লাভ মাই বডি'।'
রাধিকা আরও বলেন যে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে জিগেস করে যে বোটক্স করাতে তাঁর সমস্যা কোথায়? উত্তরে রাধিকা তাঁর বন্ধুকে বলেন যে তিনি প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে চাননা, বয়স তো সকলেরই বাড়বে এটাই প্ৰকৃতির নিয়ম, বয়স বাড়লে সকলেরই চেহারায় তাঁর লক্ষণ প্রকাশ পায়, এটাও প্রকৃতির ধর্ম, তাই তিনি যেমন তিনি তেমনি থাকতে চান, কোনো মানুষই চিরও যৌবনা থাকেনা । তিনি বলেন এগুলো জিনিস তাঁকে অল্প অল্প চিন্তা আসলেও তিনি কখনোই নিজের শরীরে কৃত্তিম উপায়ে কোনো বদল আনার কথা ভাবেন না।