কন্যাশ্রী ও সবুজসাথীর জন্য কৃতজ্ঞতা, সাইকেলে চেপে মমতার বাড়িতে মালদহের সায়ন্তিকা
কন্যাশ্রী ও সবুজসাথীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা ছোট্ট সায়ন্তিকার। এর জন্য ছুটে এল মালদহ শহরের বছর আটেকের মেয়ে সায়ন্তিকা দাস।
মালদহ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবা-মা ও দুই দিদির সঙ্গে বাস তার। বৃহস্পতিবার সকালে গৌড় এক্সপ্রেসে করে শিয়ালদহ পৌঁছয় সায়ন্তিকা। সেখান থেকে একটা সাইকেল নিয়ে সে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়়িতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানায় ছোট্ট সায়ন্তিকা।
কন্যাশ্রী ও সবুজসাথীর মত জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সুদূর মালদা থেকে কলকাতায় এল দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ক্ষুদে পড়ুয়া। বছর আটের ছাত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে দিয়ে দেখা করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস গৌড় এক্সপ্রেসে করে মালদা থেকে শিয়ালদায় আসে। শিয়ালদা স্টেশন থেকে একটি সাইকেলে করে রওনা দেয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছাত্রী মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একাধিক উপহারও নিয়েছিল। সঙ্গে ছিল তার বাবা ও মা। মালদার বাসিন্দা সায়ন্তিকা দাস। সায়ন্তিকার ইচ্ছে ছিল সাইকেলে করেই ৩৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে মালদা থেকে কালীঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাবে। কিন্তু এতদূরের রাস্তা ছোট্ট একটি মেয়ের পক্ষে সাইকেলে পাড়ি দেওয়া খুবই কঠিন। তাই স্থানীয় কর্মকর্তারা সায়ন্তিকা ও তার বাবা মাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে মত পরবর্তন করতে বাধ্য করে। শেষপর্যন্ত দাস পরেবার ট্রেনেই রওনা দেয় মালদা থেকে। কিন্তু শিয়ালদায় নেমে ছোট্ট মেয়ে সায়ন্তিকা সাইকেলেই রওনা দেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে। তার সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মালদা থেকে আনা আম ও আমের নানান পদ।