ইঞ্জিয়ার ফুচকা বিক্রেতা, দুই ভাই-বোন এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা
- উত্তর ২৪ পরগনার বিবেকনগরের বাসিন্দা জ্যোতির্ময়ী ও দেবজ্যোতি
- করোনা অতিমারিতে তারাই এখন হাল ধরেছে পরিবারের
- জ্যোতির্ময়ী ও দেবজ্যোতি এখন জনপ্রিয় ফুচকা বিক্রেতা হিসাবেই
- তাঁদের এই ব্যাবসা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে ছাড়েনা অনেকেই
- এই ব্যবসাই আজ দুই ভাই-বোনের স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি
করোনা মানুষকে নতুন অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখিন করেছে। অতিমারির এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম কথাটির সঙ্গে যেমন সাবলিল হয়েছে। ঠিক তেমনই স্কুল-কলেজ ভুলে শিশুরা এখন বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করতেই অভ্যস্ত। অন্যদিকে এই করোনা কালে কাজ হারিয়ে বহু মানুষকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে দেখা গেছে। তবে করোনা ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি জ্যোতির্ময়ী ও দেবজ্যোতি। করোনা ভয় কাটিয়ে নতুন কাজের দিশা খুঁজে নিয়েছে এই দুই ভাই-বোন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহের বিবেকনগরের বাসিন্দা জ্যোতির্ময়ী সাহা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রী এবং তাঁর দাদা দেবজ্যোতি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তবে এখন জ্যোতির্ময়ী ও দেবজ্যোতি জনপ্রিয় ফুচকা বিক্রেতা হিসাবেই। করোনার এই অতিমারির পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটছিল সাহা পরিবারের। করোনার জেরে দেবজ্যোতি -র বেতন প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। সেই সময় নতুন কিছু শুরু করার ভবনায় ঘুম উড়ে যায় দুই ভাই-বোনের। সেই ভাবনাই বস্তবের রূপ পায় তাঁদের এই নতুন ব্যবসার মধ্যে দিয়ে। ফুচকার ব্যাবসা শুরু করে তাঁরা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেলে-মেয়ে ফুচকা বিক্রি করছে, এই নিয়ে অনেকে ঠাট্টা-বিদ্রুপও শুরু করে। তবে সেই সমস্ত কথায় কান না দিয়েই তারা চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকে তাঁদের ব্যবসা। আর এই ব্যবসাই যেন আজ তাঁদের স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি।