পল্লবী মৃত্যুমামলায় অভিযুক্ত সাগ্নিকের প্রথম প্রেমিকাও আত্মহত্যা করেছিল, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যুরহস্যে এবার আরও বিপাকে সাগ্নিক চক্রর্তী। পল্লবীর লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার। বুধবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে সামনে এল আরও এক অভিযোগ। ২০১৪ সালে হাওড়ার জগাছার সৌমি মণ্ডল আত্মহত্যা করে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৬ বছরের সৌমি মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ।
অভিনেত্রী পল্লবী দে মৃত্যুরহস্যে এবার আরও বিপাকে সাগ্নিক চক্রর্তী। পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে সামনে এল আরও এক অভিযোগ। ২০১৪ সালে হাওড়ার জগাছার সৌমি মণ্ডল নামে এক ষোড়শী তরুণীর আত্মহত্যাতেও নাম জড়িয়েছিল সাগ্নিকের। কারণ, সৌমি ছিল সাগ্নিকের প্রথম প্রেমিকা। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন সৌমির মা-বাবা। পল্লবীর মৃত্যুর খবর এবং তাতে সাগ্নিকের জড়িত থাকার অভিযোগ টিভির পর্দায় দেখছেন আর সমানে পুরনো অ্যালবামে বন্দি অকালে ছেড়ে যাওয়ার মেয়ের ছবির উপরে হাত বোলাচ্ছেন সৌমির বাবা-মা। সৌমির বাবা-মা-এর অভিযোগ সাগ্নিকের সঙ্গে ঐন্দ্রিলার বন্ধুত্বও বহু বছরের। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাগ্নিকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঐন্দ্রিলার। সৌমির মা জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা আগে তাঁর বাপের বাড়ির পাড়াতেই থাকত। বর্তমানে তিনি জানেন না যে ঐন্দ্রিলা ঠিক কোথায় থাকেন। সৌমিকেও ঝুলন্ত অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তখন মাত্র ১৬ বছরের। সৌমির নিচে আরও দুই ভাই-বোন ছিল। যদিও তারা তখন এতটাই ছোট ছিল যে সাগ্নিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন সৌমির বাবা-মা। সেই থেকে অকালে মেয়েকে হারানোর শোক বুকে আঁকড়ে রয়েছেন। আজও বিশ্বাস করেন তাঁদের মেয়ের অকালে চলে যাওয়ার বিচার তাঁরা একদিন না একদিন পাবেন।