বকেয়া জিএসটি এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়, জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ

  • রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়
  • জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ
  • অতিমারি-কে গড অফ অ্যাক্ট বলে তকমা দিয়েছেন তিনি 
  • এক নজরে দেখেনিন ঠিক কি বলেছেন তিনি
/ Updated: Aug 28 2020, 10:45 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। অতিমারি-কে গড অফ অ্যাক্ট বলে তকমা দিয়েছেন তিনি। যার বাংলা অর্থ  করলে দাঁড়ায় দৈবদুর্বিপাক। বৃহস্পতিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে নির্মলা জানিয়েছেন এই কথা। কারণ, অতিমারির জন্য ১৪ শতাংশ হারে রাজস্ব আয় বাড়েনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের সামনে এখন দুটি রাস্তা খোলা রয়েছে। হয় বকেয়া জিএসটি-র সমপরিমাণ অর্থ রাজ্যগুলো ধার করুক অথবা কেন্দ্র বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণের পুরোটাই ধার করুক। রাজ্যগুলি চাইছে এই ধারটা কেন্দ্র করুক। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রের কাছ থেকে কম সুদ নেবে। রাজ্যগুলিকে কম সুদে এই ধরনের ঋণ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজ্যগুলি এক্ষেত্রে ঋণ নিতে চাইলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়তি নোট ছাপিয়ে তা ঋণ হিসাবে দিয়ে দিতে পারে। লকডাউনের আগে থেকেই কেন্দ্র সময়মতো জিএসটি ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলিকে দেয়নি। পরে এপ্রিল-মে, জুন-জুলাই দুই কিস্তিতে মোট চার মাস রাজ্যগুলি কোনও ক্ষতিপূরণ পায়নি।  মোট বকেয়া প্রায় দেড়লক্ষ কোটি টাকা। বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের অভিযোগ, কেন্দ্র চাপ দিয়ে রাজি করানোর কৌশল নিচ্ছে। তবে, অর্থমন্ত্রকের প্রস্তাব, রাজ্য যে বাড়তি ধার করবে তা সুদে-আসলে সেস থেকেই শোধ হবে। রাজ্যের বোঝা বাড়বে না। প্রয়োজনে সেসের হার বাড়ানো হবে বা আরও বেশি পণ্যের উপরে সেস চাপবে। যার অর্থ গাড়ি, নরম-পানীয়, সিগারেট, তামাক, পানমশলা এবং কয়লার উপরে বাড়তি সেস চাপার সম্ভাবনা এবং তা ২০২২-এর জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এতে আম-জনতার ঘাড়েই এর বোঝা চাপবে।