9/11 Anniversary : ভাই জোসেফ-কে আজও খোঁজেন চেরিয়ান, ৯/১১- মানে তাঁর কাছে প্রিয়জনকে হারানোর দিন
৯/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলায় মারা যান জোসেফ মাথাই। ৪৯ বছর বয়স ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোসেফের। ৪ ভাই-এর মধ্যে দাদা চেরিয়ারের খুব প্রিয় ছিলেন জোসেফ।
আজও ভাই-এর খোঁজে ৯/১১-র হামলাস্থলে যান চেরিয়ান।
জোসেফ চেরিয়ান। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিলেন ৯/১১-তে টুইন টাওয়ারের ধ্বংস্তূপে। ভারতীয় হলেও জোসেফদের পরিবারের সকলেরই নিবাস এক এক করে হয়ে উঠেছিল আমেরিকা। দাদা চেরিয়ান খুব পছন্দ করতেন ছোট ভাই জোসেফকে। তাঁর সঙ্গে যেন মিলে যেত তাঁর যাবতীয় ভাবনা ও চিন্তা। জোসেফ তাঁর কাছে ছিল একটা ভরসার জায়গা। বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্যতম সন্ত্রাসে প্রাণ হারানো ভাই-এর জন্য আজও মনটা উচাটন হয়ে ওঠে চেরিয়ানের। যদি কোনওভাবে জোসেফ ফিরে আসে এই জীবীতদের জগতে। জোসেফের দেহাবশেষের প্রথমে কোনও খোঁজ পাননি চেরিয়ান এবং তাঁর পরিবার। পরে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালের মর্গে মেলে জোসেফের মৃতদেহ। কেরলের ছেলে জোসেফ আমেরিকা গিয়েছিলেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রি নিতে। পড়াশোনা শেষ করে নিউ ইয়র্কে প্রযুক্তিবিদ হিসাবে কাজ করছিলেন জোসেফ। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের উপরে সেই সময় থেকেই কাজ করতেন জোসেফ। ৯/১১-র দিনে জোসেফের ৪ সহকর্মী লেটে অফিসে যাবে বলে জানিয়েছিল। যে সময় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা হয়েছিল সেই সময়ে সাধারণত অফিসে থাকত না জোসেফ। ৯/১১-এর দিনে যাতে তাড়াতাড়ি সে অফিসে পৌঁছতে পারে সে জন্য প্রচুর তাড়াহুড়ো করেছিল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সাউথ টাওয়ারে ছিল জোসেফের অফিস। জোসেফের স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করিয়েছিলেন। জোসেফের স্ত্রী টেরেসা একটা সময় জানিয়েছিলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যে তলায় জঙ্গিরা বিমান নিয়ে হামলা করেছিল সেখানেই ছিল অফিস। জোসেফ যে আর ফিরবে না তা বুঝতে পেরেছিলেন টেরেসা। কিন্তু, ভাই-এর এই অকালে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি চেরিয়ান। তিনি মনে করেন রাষ্ট্র এমন কিছু অসাধু সংযোগ তৈরি করেছিল যার পরিণতি ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তিনি এখনও মনে করেন রাষ্ট্র যদি তাঁর নাগরিকদের নিয়ে সচেতন না হয় তাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।