মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি ভারতের থেকে অনেকটাই আলাদা, এক নজরে দেখে নিন কি ভাবে হয় সেখানে নির্বাচন
- শুরু হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন
- ভারতের তুলনায় অনেকটাই আলাদা সেখানকার নির্বাচন পদ্ধতি
- ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেমে হয় সেখানে নির্বাচন
- কিভাবে হয় সেখানকার নির্বাচন, দেখে নিন এই ভিডিও
শুরু হতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। পুনরায় ট্রাম্প না অন্যকেও হবে এবার সেখানকার প্রেসিডেন্ট, তাই নিয়েই জল্পনা এখন তুঙ্গে। তবে মার্কিন মুলূকের নির্বাচন ভারতের থেকে অনেকটাই আলাদা। ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেমে হয় সেখানে নির্বাচন। প্রতি ৪ বছর অন্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নভেম্বর মাসে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন। নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবারে সাধারণত নির্বাচন হয়ে থাকে। সেই মতোই এই বছর ৩ নভেম্বর সেখানে নির্বাচন হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা। ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেমে হয় এই নির্বাচন। এই ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম 'ব্যাটলগ্রাউন্ড' নামেও পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে প্রভাবশালী দুটি রাজনৈতিক দল। যার একটি রিপাবলিকান ও অন্যটি ডেমোক্র্যাট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয় এই দুটি দলের কোনও একটি থেকেই। এখানে প্রেসিডেন্ট হতে হলে প্রার্থীকে দু'ধরনের ভোটে জিততে হয়। যার একটি পপুলার ভোট বা সাধারণ ভোটারদের ভোট। অন্যটি 'ইলেক্টোরাল কলেজ' নামে নির্বাচকমন্ডলীদের ভোট। প্রার্থীরা এই 'ইলেক্টোরাল কলেজ' -এর ভোট জেতার জন্যই লড়াই করে। প্রার্থীকে জয়ী হতে হলে ৫৩৮ টির মধ্যে ২৭০ টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতেই হবে। যে প্রার্থী জয়ী হবে তিনি ২০২১-এ জানুয়ারি-র ২০ তারিখ শপথ নেবেন। প্রথমত, ভোটারকে অবশ্যই মার্কিন নাগরিক হতে হবে। ভোটারের বয়স হতে হবে ১৮ বা তার থেকে বেশি। কারাবন্দীরা এখানে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না। তবে সাজা ভোগ করার পর একজন দোষী ভোটাধিকার পুনরায় ফিরে পান। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়েই ভোট দিতে হয় সকলকে। তবে এখন বিকল্প পন্থায় ভোট দেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৬ সালে ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন অনেকেই। এই ভোট শুধু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নয়। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচনও হয় এই ভোটের মাধ্যামে। এবছর প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হবে সব গুলিতেই। তবে এবার সেনেট নির্বাচন হচ্ছে ৩৩টি আসনে।