শ্যামল প্রয়াণে শোকাহত, কী বলছে রাজনৈতিক মহল
- শেষরক্ষা হল না, লড়াই শেষ হাসপাতালে
- চলে গেলেন সিটুর রাজ্য় সভাপতি শ্য়ামল চক্রবর্তী
- তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সিটুর রাজ্য় সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য়সভার সাংসদও ছিলেন শ্য়ামল চক্রবর্তী। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। পিতৃহারা হলেন অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী।
কয়েকদিন আগেই শ্যামল চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষা করা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে উষসী। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি উষসী। সেই আশঙ্কায় সত্যি হয়েছিল। মারণ ভাইরাস গ্রাস করেছিল বর্ষীয়ান নেতাকে। সম্প্রতি টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ জুন আন্টি ওরফে উষসী চক্রবর্তী নিজেই বাবার এই করোনার খবর জানিয়েছিলেন।
শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৪৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিডনির সমস্যার কারণে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। আজ সকালের পর থেকে দু’বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এর পরই মারা যান সিটুর প্রাক্তন সভাপতি। তিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন, তাই প্রোটোকল মেনেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে।
শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ছাড়াও সুজন চ্ক্রবর্তী। বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম।