তিন দিনে করোনা মুক্তি, ভিত্তি নেই বিশ্বজিতের যুক্তিতে

তিন দিনে করোনা থেকে মুক্ত করবে তরল। রোগীদের খাওলেই স্বস্তি পাবেন তারা। এমনই জৈবিক তরল তার কাছে রয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন এসপি মার্কিটিংয়ের মালিক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কোম্পানির  এই তরল বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার দ্বারা স্বীকৃত বলেও দাবি করেছেন তিনি। ঘরের ছেলের কাছে করোনা মুক্তির তরলের কথা শুনেই  ফোন করেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সিনিয়র এডিটর, দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্নের কাছে রণে ভঙ্গ দেন বিশ্বজিৎবাবু। 

/ Updated: Jul 31 2020, 02:14 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email


তিন দিনে করোনা থেকে মুক্ত করবে তরল। রোগীদের খাওলেই স্বস্তি  পাবেন তারা। এমনই জৈবিক তরল তার কাছে রয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন এসপি মার্কিটিংয়ের মালিক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর কোম্পানির  এই তরল বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার দ্বারা স্বীকৃত বলেও দাবি করেছেন তিনি। ঘরের ছেলের কাছে করোনা মুক্তির তরলের কথা শুনেই  ফোন করেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সিনিয়র এডিটর, দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। কিন্তু সাংবাদিকের প্রশ্নের কাছে রণে ভঙ্গ দেন বিশ্বজিৎবাবু। বোঝা যায়, ভিত্তি নেই বিশ্বজিতের যুক্তিতে।

প্রথমে শরীরের করোনা মুক্তির  কথা বললেও পরে সম্পাদকের প্রশ্নে ভোল বদলান বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, অন্দরের করোনা মুক্তির কথা বলেননি তিনি। তাঁর দাবি, কলকাতার রাজাবাজার , বেলগাছিয়ার মতো এলাকায় তাঁর ছড়ানো স্প্রের ফলেই করোনার হার কমেছে। বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার দিন পনেরোর মধ্য়েই এই কাজ শুরু করেন। তাতে সাফল্যও আসে অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাঁর এই দাবি ধোপে টিকল না আমাদের সম্পাদকের পাল্টা যুক্তিতে।

এখানেই শেষ হয়নি প্রশ্ন উত্তর পর্ব। বিশ্বজিৎবাবু দাবি করেছেন, হাওড়ায় ইএসআই হাসাপাতালে এই জৈবিক তরল প্রয়োগ  করেছেন তিনি।  নাবালকের মুখে সেই তরল স্প্রে করার ছবি উঠে এসেছে আমাদের হাতে। সবথেকে বড় প্রশ্ন , বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, খোদ পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে হাওড়ার ওই হাসপাতালে এই তরল প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছেন। যদিও আইসিএমআর-এর অনুমতি ছাড়া এই হিউম্য়ান ট্রায়াল হওয়ার কথাই নয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি  বলছে, নিত্য়দিন কেউ না কেউ করোনা মুক্তির ওষুধ বের করার দাবি করছেন। কদিন আগেই বাবা রামদেবও সেই একই দাবি করেন। যদিও পড়ে চাপে পড়ে নিজের দাবি থেকে সরে আসে দিব্য যোগ ট্রাস্ট। এবার বিশ্বজিৎবাবুর ক্ষেত্রেও দেখা গেল একই বিষয়। যেখানে লজিক নয়, ম্যাজিক দেখাচ্ছেন এক মার্কেটিং ম্যানেজার।