চৈত্র শেষ হলেই নতুন বছরের শুরু, কেন পালিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি, জেনে নিন
চৈত্র মাস মানেই মেলা আর উৎসবের ফুলঝুরি। আর নতুন বাংলা বর্ষ আসার প্রতীক্ষা। চৈত্র মাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় দিনটি হল চৈত্র সংক্রান্তি। এই দিনটিকে অবলম্বন করে বাংলার বুকে রয়েছে একাধিক লোকাচার থেকে পূজা-আর্চা এবং সামাজিক বিধি।
চৈত্র মাস মানেই মেলা আর উৎসবের ফুলঝুরি। আর নতুন বাংলা বর্ষ আসার প্রতীক্ষা। চৈত্র মাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় দিনটি হল চৈত্র সংক্রান্তি। এই দিনটিকে অবলম্বন করে বাংলার বুকে রয়েছে একাধিক লোকাচার থেকে পূজা-আর্চা এবং সামাজিক বিধি। যাদের কাহিনি বেশ আকর্ষণ করার মতো। আর এই চৈত্র সংক্রান্তির কাহিনির মধ্যে দিয়ে সামনে আসে বাংলার সমাজজীবনের চালচিত্র এবং জনজীবন ও সংস্কৃতি। যা বাংলা ভাগের পরও আজও অমলিন। চৈত্র সংক্রান্তি মূলত হিন্দু প্রধান উৎসব হলেও বাংলার মুসলিম সমাজেও সমানভাবে সমাদৃত। আর এই বাংলার বুকে চৈত্র সংক্রান্তি মুসলিমদের কাছেও সমান মূল্য ও তাৎপর্য এবং ঐতিহ্য বহন করে। চৈত্র সংক্রান্তি হল চৈত্র মাসের শেষ দিন। এই দিনের শেষ মানেই বাংলায় নতুন বছরের সূচনা। মানে পয়লা বৈশাখ। যা বাংলা নববর্ষ নামেই পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম-বাংলার বউরা ঝোপ-জঙ্গল থেকে প্রথা মেনে ১৪ রকমের শাক তুলে আনতেন। সেই শাক একসঙ্গে রেঁধে এই দিনে খাওয়া হয়। আজও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বহুস্থানে এইভাবে ঝোপ-জঙ্গল থেকে শাক তুলে এনে খাওয়ার রীতি রয়েছে। এই প্রথা শাকান্ন উৎসব নামে পরিচিত।