২ বছর ধরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে দাড়িভিট, আশা বিজেপি সরকার এলে হবে মমতার পুলিশের বিচার

বিচার চায় দাড়িভিট। যে বিচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দিতে পারেননি, সেই বিচারের আশায় দাড়িভিট এবার বিজেপিমুখী। তারা চাইছে রাজ্যে এবার আসুক বিজেপি-সরকার। যে যন্ত্রণা ২ বছর ধরে দাড়িভিটের মানু। বয়ে বেড়াচ্ছে তার বিহিত চায় তারা। 

/ Updated: Apr 17 2021, 06:19 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

চোখের সামনে ছেলে দুটো লুঠিয়ে পড়েছিল। তাপস ও রাজেশ। পায়ে গুলি লাগে বিপ্লব সরকারের। সেই সঙ্গে পুলিশের লাঠি আর ছোট্ট-ছোট্ট স্কুল পড়ুয়াদের চিৎকার। বেপরোয়া পুলিশ। আজও ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের সেই ছবি ভুলতে পারেনি দাড়িভিট। স্কুলের সামান্য শিক্ষক নিয়ে গণ্ডগোল। সেখান থেকে যে পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে উঠবে তা কেউই ঠাহর করতে পারেনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাপসের। হাসপাতালে মারা যায় রাজেশ। বিপ্লবের অবস্থাও ছিল সঙ্গীণ। কিন্তু, কোনওভাবে প্রাণে বেঁচে যায় সে। কিন্তু, স্কুল ছাত্রদের বিক্ষোভে পুলিশ এভাবে কেন গুলি চালাবে তা নিয়ে কোনও মামলাই করা যায়নি। পুলিশ যে তদন্ত রিপোর্ট জনা করেছিল তাতে এমনভাবে ঘটনাক্রমকে সাজানো হয়েছিল যে পুরো দোষটা দাড়িভিটের মানুষের ঘাড়ে পড়ে। এমনই অভিযোগ দাড়িভিট এলাকার। যার জেরে দাড়িভিটের মানুষকে একের পর এক পুলিশি নির্যাতন সইতে হয়েছে। একাধিক লোকের নামে গুরুতর সব ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। যারা ঘটনার সময় বিক্ষোভস্থলেই ছিলেন না। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স ছিল ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর এদের সঙ্গে ছিল স্কুলের কিছু প্রাক্তন ছাত্র। যাদের বয়স ২০ মধ্যে। পুলিশকর্মীরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতেও নাকি সেদিন পিছপা হয়নি। বিক্ষোভ হঠানোর নামে তাণ্ডব চালিয়েছিল পুলিশ। এমনকী এই ঘটনায় এলাকার পাশে বসবাসকারী এক বিশেষ সম্প্রদায়ে.র মানুষের দিকেও আঙুল তুলেছে দাড়িভিট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা কোনও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করেননি, উল্টে ইটালির মিলান থেকে এমনকিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে। এরপর থেকে আরও তীব্র হয়েছে দাড়িভিট আন্দোলন। আজ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকতে পারেননি দাড়িভিটে। এই এলাকার মানুষ এবারের নির্বাচনে খুল্লামখুল্লা সমর্থন দিয়েছে বিজেপি-কে। তাদের আশা রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে দাড়িভিট হত্যাকাণ্ডে দোষী পুলিশরা সাজা পাবে।