'মোদী সরকারের হাতে বিপন্ন গণতন্ত্র'- তৃণমূলে যোগ দিয়েই হুঙ্কার ছাড়লেন যশবন্ত সিনহা
রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন যবন্ত সিনহা। ২০১৮ সালে তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে অবশ্য বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের তিনি ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রীও। এমনকী, বিজেপি-র এক অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবেই তিনি দেশজুড়ে বিবেচিত হতেন। এহেন যশবন্ত সিং বহু বছর আগেই বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নানা ইস্যুতে দলের অন্দরে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। যেভাবে মোদী-অমিত শাহ-রা দলের প্রবীণ ব্রিগেডকে ব্রাত্য করে দিচ্ছিলেন তার সমালোচনাও করেছিলেন যশবন্ত। মোদীর সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিলো যে তিনি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের কথাও ঘোষণা করেছিলেন যশবন্ত সিনহা। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর আবহে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজনীতির গরম হাওয়ায় পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়েই নরেন্দ্র এবং তাঁর সরকারকে তুলোধনা করেন যশবন্ত সিনহা। তিনি বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র বিপন্ন। বাজপেয়ী এই ভারতের স্বপ্ন কখনও দেখেননি এবং কাউকে দেখতেও বলেননি। মমতার সঙ্গে বিজেপি-র যোগ কতটা দৃঢ় ছিল তা বোঝাতে কান্দাহার বিমান ছিনতাই প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বলেন, সেদিন বিমান ছিনতাই-এর ঘটনার পর ক্যাবিনেট বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের জন্য নিজেকে শহিদ করতে দিতে চেয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সামনেই বিমান দস্যুদের কব্জায় নিজেকে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। জঙ্গিদের কব্জায় থাকা বিমানযাত্রীদের বাঁচাতে নাকি এই পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন মমতা। এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক চরম দেশপ্রেমিক হিসাবে এদিন তুলে ধরেন যশবন্ত সিনহা।