পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ কী বলছেন জনতা, জানুন সেই কাহিনি
অর্থনীতিতে এমএ পাশ করা ছেলের এখন ভবিতব্য মাস গেলে আড়াই হাজার টাকার চাকরি। অথচ বাড়িতে স্ত্রী, কন্যা এবং বৃদ্ধ-বাবা-মা। সংসার চলবে কোথায় দিয়ে জানা নেই। কাজ না পাওয়া এমন যুবকের আর্তি হয়তো সপরিবারে একদিন আত্মহত্যাই করতে হবে।
চাকরি নেই। রাস্তা নেই। যেখানে রাস্তা রয়েছে সেখানে মেরামতি নেই। আবার মেরামতি হলেও তাতে হাজারো ভেজাল। এমন অবস্থা যে রাস্তা সারাতে না সারাতেই খসে পড়ে যাচ্ছে পিচ-পাথর। এখানেই শেষ নয়। চাকরির বাজারে নেই কাজ। বেশি কিছু বললেই হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার, অথবা গ্রিন পুলিশ অথবা ভিলেজ পুলিশ। এটাও যদি পছন্দ না হয় তাহলে রয়েছে সিন্ডিকেট-এর বালু-ইট-এর ব্যবসায় ঢুকে যাওয়ার সুযোগ। তাতেও যদি মন লাগে তাহলে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাইমারি অথবা অন্য কোনও সরকারি চাকরিতে লাক ট্রাই। এটাই নাকি এখন দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্থানে। এমনই সব অভিযোগ নিয়ে সরব পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। এর সুরাহা কোথায় দিয়ে হবে কেই জানে না। অর্থনীতিতে এমএ পাশ করা ছেলের এখন ভবিতব্য মাস গেলে আড়াই হাজার টাকার চাকরি। অথচ বাড়িতে স্ত্রী, কন্যা এবং বৃদ্ধ-বাবা-মা। সংসার চলবে কোথায় দিয়ে জানা নেই। কাজ না পাওয়া এমন যুবকের আর্তি হয়তো সপরিবারে একদিন আত্মহত্যাই করতে হবে। আর একদল যুব সম্প্রদায়ের অভিযোগ, পড়াশোনা শিখেও দেখছি কোনও মাওবাদী বা মাওবাদীদের হাতে অত্যাচারিত ছেলেরা কাজ পেয়ে যাচ্ছে। কার্যক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে এদের ন্যূনতম শিক্ষাটুকু নেই। টিপসই দিয়ে সরকারি বেতন নিচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, কাস্ট সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে বেজায় অসুবিধায় পড়েছেন এক গৃহবধূ। ২ থেকে ৩ বছর ধরে চক্কর কেটেছেন তিনি। কিন্তু, উৎকোচ প্রদান না করলে যে কাস্ট সার্টিফিকেট জুটবে না তা বুঝে গিয়েছেন। এরা মনে করছেন আসলে সরকার যখন রক্ষক থেকে ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন তার পতন ছাড়া আর কিছুই কামনা করা যায় না।