একদিকে মমতাকে প্রণাম জানানো, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা, বিদায়কালে রাজীবের 'শাপ'-বচন
- মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
- ইস্তফা জমা করতে গিয়েছিলেন রাজভবনে
- সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন
- পদত্যাগের জন্য মমতাকেই দুষেছেন রাজীব
তাঁকে দেখেই নাকি অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখানো। আজ তাঁকে জননেতা হিসাবে যারা চেনেন, তার পিছনেও নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন নেত্রী তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছেন, কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। অথচ, বিদায়বেলায় সেই দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম জানিয়েই তাঁর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজীব। সাফ জানিয়ে দিলেন, যে ক্ষোভের জন্ম হয়েছিল আড়াই-বছর আগে, ২২ তারিখে সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি। রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে ইস্তফাপত্র জমা করে বের হন রাজীব। রাজভবনের গেটেই তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সাফ জানিয়ে দেন, একজন সহকর্মী হিসাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নূন্যতম সৌজন্যটুকু আশা করেছিলেন। কিন্তু তা পাননি। রাজীব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করেন কে কোন দফতরের মন্ত্রী হবেন। ফলে যখন তাঁকে সেচদফতরের মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তখন তিনি প্রবল হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, মন্ত্রিত্বের এই বদলির খবরটা তিনি জেনেছিলেন টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলে চলা ব্রেকিং নিউজ থেকে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা দলের তরফে তাঁকে আগেভাগে কিছুই জানানো হয়েছিল না বলে দাবি করেছেন রাজীব। তিনি জানিয়েছেন, অথচ দলের নির্দেশ মোতাবেক তিনি এই ঘটনার দুদিন আগে উত্তরবঙ্গে গিয়ে দলীয় সংগঠনের কাজ করে আসেন। ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম না নিয়েই কলকাতায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে ডিউটি করেছিলেন। দলের প্রতি এতটা অনুগত থাকার পর এবং মন্ত্রী হিসাবে দফতরের কাজ দারুণভাবে সামলানোর পরও যেভাবে তাঁকে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল বলেই চোখের জল ফেলতে ফেলতে এদিন সংবাদমাধ্যমকে ব্যক্ত করেন রাজীব।