মরসুমের প্রথমেই জালে ২০ টন ইলিশ, বর্ষায় রসনাতৃপ্তির স্বপ্নে বাঙালি
- ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ল
- ২০ টন ইলিশ নিয়ে রীতিমতো উন্মাদনা
- মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকল বাজারে
- এবার বাঙালির পাত ইলিশময় হতে পারে
বর্ষা শুরু হতেই জালে উঠল মরসুমের প্রথম ইলিশ। আর এর ওজন দাঁড়াল ২০ টন। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র বাজারে এই ইলিশ নিয়ে আসেন মৎস্যজীবীরা। মরসুমের শুরুতেই এত ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি মৎস্যজীবীদের থেকে শুরু করে আড়তদাররা। করোনা সতর্কতায় তখন লকডাউন চলছে পুরোদস্তুর। এ রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার ক্ষেত্রে দু'মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এখন আর কোনও কড়াকড়ি নেই, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জনজীবনে। সারা দেশের মতো আনলক প্রক্রিয়া চলছে এ রাজ্যেও। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ১৫ জুন হাজার তিনেক ট্রলার রওনা দেয় বঙ্গোপসাগরে। খাবার আবহাওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয় মৎস্যজীবীদের। আবহাওয়ার উন্নতি হতেই জাল ফেলা হয় সমুদ্রে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রুপোলি শস্য নিয়ে ফিরল বেশ কয়েকটি ট্রলার। এদিকে আবার ইলিশ মাছের কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড়ে আবার করোনা সংক্রমণ ছড়াবে না তো? সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে প্রতিটি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাস করা হয়, জীবাণুমক্ত করা হয় বাজারটিকেও। গোটা প্রক্রিয়াটি তদারকি করেন জেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইত, ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা ও ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শান্তনু সেন।