'চাকরি চাই চাকরি চাই', চাকুরিপ্রার্থী নার্সদের চিৎকারে থরহরি কম্প স্বাস্থ্যভবনে, পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার
চাকুরিপ্রার্থী নার্সদের বিক্ষোভে উত্তাল স্বাস্থ্যভবন। মঙ্গলবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় স্বাস্থ্যভবনের গেটে। ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের সরকারি নার্সিং কলেজ থেকে এরা পাশ করেছে। অভিযোগ, এখনও সরকার এই সব নার্সদের নিয়োগ পত্র দিতে পারেনি। স্বাস্থ্যভবনের গেট ভেঙে নার্সরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ।
সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া নার্সদের অনেকেই যে এখনও কোনও প্লেসমেন্ট পাননি, তা বহুদিন ধরেই চর্চায়। এই নিয়ে এর আগেও বহুবার চাকুরিপ্রার্থী নার্সরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ডেপুটেশন করেছেন এবং আবেদনও জমা করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ মঙ্গলবার দুপুরে কয়েক শ চাকুরিপ্রার্থী নার্স সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্যভবেনর সামনে আসেন। তাঁরা চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কিন্তু, আগে থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিধাননগর থানার পুলিশ নার্সদের আটকে দেয়। এরপর নার্সরা স্বাস্থ্যভবনের বন্ধ গেট ভেঙে দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রতিরোধ করে। এতে পরিস্থিতি বাগে না আনতে পেরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এবং বেশকিছু নার্সকে চুলির মুঠি ধরে টানতে টানতে প্রিজন ভ্যানের দিকে নিয়ে যায়। এতে বাকি নার্সরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। বিক্ষোভরত নার্সদের বাগে আনতে পুলিশ টানা-হ্যাঁচড়া শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক নার্সের জামা-কাপড়ও ছিড়ে যায়। প্রায় শতাধিক নার্সকে আটক করে পুলিশ। এরপর বাকি নার্সরা সল্টলেকে ইলেক্ট্রনিক্স থানা ঘেরাও করে। সেখানে আবার এক দফা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সেখানেও পুলিশ বেশ কয়েক জনকে আটক করে। জানা গিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত যারা নার্সিং পাশ করেছেন তাদের অধিকাংশেরই এখনও চাকরি হয়নি।