হাসখালির পর এবার রানাঘাটে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের
এবার সামনে এল আন্তরাজ্য শিশু বিক্রি চক্র। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার। গ্রেফতার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরাম থানা এলাকায়।
নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলা এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে তাদের মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলা থানার শংকরপুর এলাকায়। নদিয়ার গাংনাপুর থানার ঘোলা এলাকার ওই নাবালিকা গত সোমবার চড়ক মেলা উপলক্ষে তার পিসির মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎ নাবালিকার জামাইবাবু খবর দেয় ওই নাবালিকার দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে নাবালিকার বাবা এবং জেঠু রওনা দায়। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারে যে মেয়ে মারা গেছে এবং এই মুহূর্তে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল রয়েছে। শুধু তাই নয় ততক্ষনে নাবালিকার ময়নাতদন্তও হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের দাবি এর পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে। কারণ ওই নাবালিকা সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় গত সোমবার বেড়াতে গিয়েছিল। কীভাবে দিদি জামাইবাবুর বাড়ি গিয়ে হঠাৎ ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করতে পারে, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। এলাকাবাসী এবং পরিবার ওই নাবালিকার পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি তোলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাংনাপুর থানার পুলিশ। থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও ওই নাবালিকার পিসততো দিদি এবং জামাইবাবুর দাবি সে ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, নতুন করে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। অভিযোগে মোট চার জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাঁসখালির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ।