আনিস-এর দেহ কবর থেকে তুলতে বাধা গ্রামবাসীদের, পুলিশদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ
আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সিটের সদস্যরা দেহ তুলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাতে গিয়েছিলেন। পুলিশ আধিকরিকদের ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এমনটাই অভিযোগ পুলিশ আধিকারিকদের। রাতের অন্ধকারে কেন লুকিয়ে দেহ নিতে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েছেন, জানাচ্ছে আনিসের পরিবার।
শনিবার ভোর চারটের সময়, আনিস খান-এর বাড়িতে আসে সিটের সদস্যরা। সারদা খাঁ পাড়া হঠাৎই ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশবাহিনী। হাওড়া গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার, আমতা-২ এর বিডিও মাসুদুর রহমান এবং হাওড়া গ্রামীনের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আনিস খানের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্যই তারা এসেছেন এমনটাই জানান স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা তাদের কাগজপত্র দেখাতে বললে ওনারা তা দেখাতে পারেননি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এরপরে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিটের আধিকারিকদের বলা হয়েছিল সোমবার সকাল দশটার সময় আনিসের কবর থেকে মৃত দেহ বার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে, তাহলে কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র না নিয়ে রাতের অন্ধকারে কেন লুকিয়ে মৃতদেহ তুলতে আসলো। পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পরেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কবর থেকে আনিসের মৃতদেহ তোলার অনুমতি পত্রও দেখাতে পারেননি। মুলত সিটের তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছিলেন সোমবার সকাল দশটা নাগাদ আনিসের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের পাঠানো হবে কিন্তু তার আগে আজ ভোরে লুকিয়ে এইভাবে তুলতে আসাকে পুলিশের অন্য কোনো অভিপ্রায় আছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে এই বিশাল পুলিশবাহিনী সকাল ছটা নাগাদ এলাকা ছেড়ে চলে যায়।