Bear: হুলুস্থুল কান্ড মালবাজারে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ল ভাল্লুক
অবশেষে ভাল্লুকের দেখা মিলল ডুয়ার্সের লোকালয়ে। তবে জলপাইগুড়ি নয়। ভাল্লুক-এর দেখা মিলল মালবাজারে। এক্কেবারে গৃহস্থের ঘরের ভিতরে। ছোট্ট-খাট্টো। বন্যপ্রাণীকে ঘরের মধ্যে সেধিয়ে দেখে যেতে মানুষ না যত বেশি আতঙ্কগ্রস্ত তার থেকে বেশি আতঙ্কে ভাল্লুক নিজেই।
অবশেষে ভাল্লুকের দেখা মিলল ডুয়ার্সের লোকালয়ে। তবে জলপাইগুড়ি নয়। ভাল্লুক-এর দেখা মিলল মালবাজারে। এক্কেবারে গৃহস্থের ঘরের ভিতরে। ছোট্ট-খাট্টো। বন্যপ্রাণীকে ঘরের মধ্যে সেধিয়ে দেখে যেতে মানুষ না যত বেশি আতঙ্কগ্রস্ত তার থেকে বেশি আতঙ্কে ভাল্লুক নিজেই। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারে পুরসভার বাটাইগোল বাজারে মাল পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে এক জনের বাড়িতে এই ভালুক ঢুকে পড়ে। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সোজা ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। ভাল্লুক ঘরে ঢুকেছে দেখে সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। ছুটে আসে পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে ভাল্লুক দেখতে ভিড় জমিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভিড় সরিয়ে ভাল্লুক উদ্ধারে যার জন্য বিলম্ব হয়ে যায়। দিন দুই আগেই ভাল্লুক আতঙ্ক গ্রাস করেছিল জলপাইগুড়িতে। শহরের মধ্যে বন্যপ্রাণীর রক্তমাখা পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। এরমধ্যে বন দফতরের কর্মীরা দাবি করে বসে যে এটা ভাল্লুকের পায়ের ছাপ। ফলে জলপাইগুড়িতে আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় বন দফতরের পার্কে বইমেলা চলছিল। ভাল্লুকের আতঙ্কে তাও বন্ধ হয়ে যায়। জলপাইগুড়ি পুরসভা থেকে মাইকিং করে সন্ধের পর মানুষ জনকে ঘর থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকী নির্জন রাস্তায় যাতায়াত এড়ানোর কথাও বলা হয়। যদিও, সেই ভালুককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাস খানেক আগে জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে বুনো হাতি ঢুকে পড়েছিল। তবে বন দফতর সূত্রে খবর যে মালবাজারে যে ভালুক লোকালয়ে ঢুকেছে তা একটি মধ্যবয়সী। এখনও পর্যন্ত এই ভালুক কাউকে আঘাত করেছে বলে জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে খাবারের সন্ধানেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছিল ভালুকটি। তবে, মালবাজার একদম ডুয়ার্সের মাঝে একটা জনপদ এবং একে ঘিরে গভীর জঙ্গল থাকায় এমন ঘটনা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে বন দফতর।