Saheb bandh issue: সাহেব বাঁধের ফাইল উধাওকে হাতিয়ার করেই পুর ভোটের আগে আন্দোলনের পথে গেরুয়া শিবির
পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল উধাও। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-র হাত ধরে এই খবর প্রথম উঠে আসে। এরপরেই কিছুটা চাপ বাড়েছে পুরুলিয়া পৌরসভার ওপর। এই খবর হাতিয়ার করেই আন্দলনে নেমেছে পুরুলিয়ার বিজেপি।
পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল উধাও। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-র হাত ধরে এই খবর প্রথম উঠে আসে। এরপরেই কিছুটা চাপ বাড়েছে পুরুলিয়া পৌরসভার ওপর। এই খবর হাতিয়ার করেই আন্দলনে নেমেছে পুরুলিয়ার বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজেশ কাটারুকা। এছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ফাইল লোপাটের তদন্তের দাবি নিয়েই চলে বিজেপির বিক্ষোভ। এদিকে ফাইল লোপাটের তদন্ত চেয়ে আজ পৌরসভা প্রাঙ্গনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সাহেব বাঁধের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পকেট ভরছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বদের। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫সে এপ্রিল পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পুরুলিয়া পৌরসভার অধীন সাহেব বাঁধ জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পায়। যার ফলক সাহেব বাঁধের পাড়ে এখনও জ্বল জ্বল করছে।পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাগমুন্ডি বিধানসভার তৎকালীন বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের উদ্যোগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী নম নারায়ণ মিনা ঋষি, নিবারণ সায়ের তথা সাহেব বাঁধকে জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি দেন। ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৪৩ সালে পুরুলিয়া শহর জুড়ে জল সমস্যা সমাধানের জন্য এই জলাধারের খনন শুরু করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। ৫০একর জমির ওপর পাঁচ বছর ধরে চলে খনন কার্য্য।খনন কার্য সম্পন্ন হলে কর্নেল টিকলে সাহেবের নাম অনুসারে নাম দেওয়া হয় সাহেব বাঁধ। ভারত স্বাধীন হলে পুরুলিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি নিবারণ চন্দ্র ঘোষের নাম অনুসারে সাহেব বাঁধের নামকরণ হয় নিবারণ সায়ের। বর্তমানে পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নিয়েছে পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধ। শীতকালে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের আগমনে সাহেব বাঁধ আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। দূরদূরান্তের পর্যটকরা পুরুলিয়া বেড়াতে এসে সাহেব বাঁধ না দেখে ফেরেননা। জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পাওয়া সেই সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল পৌরসভা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন পৌর নির্বাচনেও। বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা জানান, পৌরসভা থেকে ফাইল উধাও মানেই নিশ্চয় দুর্নীতি রয়েছে। কেন্দ্র সরকার জাতীয় সরোবরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে, অথচ এখন জানাযাচ্ছে জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল উধাও।