Maldah Rape-Muder Verdict: মালদহ ধর্ষণ কান্ডে অপরাধীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। বিশেষ করে হায়দরাবাদে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরপরই বাংলার বুকে এমন এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের খবর সামনে এসেছিল। বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় মালদহে এই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছিলেন।

/ Updated: Dec 09 2021, 04:08 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

মালদহে যুবতীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাপন ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল মালদহ জেলা নগর দায়রা আদালত। বুধবারই বাপনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বৃহস্পতিবার হলো সাজা ঘোষণা। একাধিক ধারায় বাপন-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর সমস্ত ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খুন এবং খুনের আগে ধর্ষণ ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় দেহকে জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অপরাধ। ২২ ডিসেম্বর, ২০২১-এর সকালে মালদহের আরাপুরের ধানতলার একটি আমবাগানে এক যুবতীর অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে রীমিতো চাঞ্চল্য পড়ে যায়। যুবতীকে জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। শিলিগুড়ির একটি পরিবার মৃত যুবতীকে তাদের বাড়ির মেয়ে বলে সনাক্ত করে। মৃত যুবতীর পরিবারের সূত্র ধরেই পুলিশ খোঁজ পায় মালদহের আরাপুর ধানতলার যুবক বাপন ঘোষ ওরফে ছোটনের। জানা যায় বাপন এবং মৃত যুবতীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই জীবন-যাপন করেছিল শিলিগুড়িতে। কিন্তু বাপন যে বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা তা ওই যুবতী জানতো না। এরমধ্যে ওই যুবতী বাপনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। বাপন বিয়েতে না করে দেয়। পরে জানতে পারে ওই যুবতীর সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এরপরই বাপন মালদহে এসে যুবতীকে শিলিগুড়ি থেকে ডেকে আনে। বিকেলে বাড়ির কাছে নির্জন আমবাগানে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। এরপর যুবতীকে গলা টিপে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিচারের দাবিতে মালদহে আন্দোলন করেছিলেন।