সাহিত্যিক মমতাকে স্বীকৃতি বাংলা একাডেমির, খাপ্পা বিরোধীরা
বাংলা অ্যাকাডেমি এই বছর থেকে রিট্রিভার্সিপ বলে এক বিশেষ সম্মান প্রদান শুরু করেছে। যার উদ্দেশ্য হলো সমাজের হিতে যারা কাজ করবে তাদেরকে এই সম্মান দেওয়া হবে। তারা যে সাহিত্য থেকেই হতে হবে এমনটা নয়। কিন্তু, বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু সোমবার জানান সাহিত্যে নিরলস সাধনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিট্রিভার্সিপ সম্মানের প্রথম বর্ষে তা প্রদান করা হচ্ছে।
রবিকবির জন্মদিনে সত্যি সত্যি স্মরণীয় হয়ে থাকল ১৪২৯-এর ২৫ বৈশাখ। কারণ এদিন বাংলা সাহিত্যাকাশে এমন এক প্রতিভার স্বীকৃতি প্রদান হয়েছে যে তা এই সময়ের অধিকাংশ বাঙালি হয়তো জীবিতকালে ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারবেন না। বৈশাখ মানে বাঙালির কাছে এক স্মরণীয় মাস। এপ্রিল এবং মে মাসের ভাগাভাগি করে থাকা এই বাংলা মাসে এমন কিছু ব্যক্তিত্বের জন্মদিন রয়েছে যারা বাঙালির শিক্ষা এবং দীক্ষা, মননশীলতা এবং সৃষ্টিশীলতা ও সংস্কৃতিকে আলাদা একটা পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন মান্না দে, তেমনি রয়েছেন সত্যজিৎ রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, আর অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এমন মহান ব্যক্তিত্বদের আবির্ভাব মাসেই বাংলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে এমন এক সম্মান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আসলে বাংলা অ্যাকাডেমি এই বছর থেকে রিট্রিভার্সিপ বলে এক বিশেষ সম্মান প্রদান শুরু করেছে। যার উদ্দেশ্য হলো সমাজের হিতে যারা কাজ করবে তাদেরকে এই সম্মান দেওয়া হবে। তারা যে সাহিত্য থেকেই হতে হবে এমনটা নয়। কিন্তু, বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু সোমবার জানান সাহিত্যে নিরলস সাধনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিট্রিভার্সিপ সম্মানের প্রথম বর্ষে তা প্রদান করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রচিত কবিতা বিতান সমগ্রের জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন বলেও জানান ব্রাত্য বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সম্মান প্রাপ্তিতে টুইটারে ব্যাঙ্গের বান ছুঁড়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি লিখেছেন, জাল পিএইচডি, অনুপ্রেরণার ডিলিট, চাতুকারিতার রিট্রিভার্সিপ, বাকি থেকে গেল নোবেল, গতি যেরকম তাতে চান্স আছে বোধহয়। মাননীয় কতরঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।