'দেশনায়ক মানে যিনি দেশপ্রেমিক', পরাক্রম দিবস মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী

  • কেন্দ্রের পরাক্রম দিবসের বিরোধিতা মমতার
  • দেশনায়ক আদর্শ শব্দবন্ধ, বললেন মমতা
  • 'দেশনায়ক মানে যিনি দেশপ্রেমিক'- মমতা
  • বিধানসভা ভোটের আগে রাজনীতির অভিযোগ
/ Updated: Jan 19 2021, 10:42 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

দেশনায়ক না পরাক্রম দিবস। এবার এই নিয়ে বাঁধল বিরোধ। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি-র জন্মদিন-কে পরাক্রম দিবস বলে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিতর্ক। নেতাজির জন্মদিন-কে যে পরাক্রম দিবস বলে পালন করা হবে, তা ১৮ জানুয়ারি রাতে গেজেট প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। এর পরপরই বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইট করেন এই নিয়ে। টুইটে অমিত মালব্য জানান, যে নেতাজি-র জন্মদিবসকে পরাক্রম দিবস বলে পালন করা হবে। পুরুলিয়ার হুটমূড়ায় ১৯ জানুয়ারি দুপুরে জনসভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়ের। সভার শেষে নেতাজির জন্মদিন-কে পরাক্রম দিবস বলে পালন করা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সরাসরি বিজেপি-কে আক্রমণ করেন। সাফ জানিয়ে দেন, বাঙালি-র ভাবধারা-কে সম্মান জানিয়েই দেশনায়ক দিবস বলে দিনটি-কে পালন করা যেতে পারত। কারণ বাঙালি নেতাজি-কে দেশনায়ক হিসাবে সম্মান করে এবং দেশনায়ক মানে হল দেশপ্রেমিক। পরাক্রম শব্দটা কতটা নেতাজির দর্শনের সঙ্গে যায় তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এটাও পরিস্কার করেছেন যে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই নেতাজি-কে নিয়ে দরদ উতলে উঠেছে বিজেপি-র। নেতাজির জন্ম দিনের দিন রাজ্য সরকার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই বছর নেতাজির জন্মের ১০০ বছর পূর্তি। ২৩ জানুয়ারি বেলা ১২টায় শ্যামবাজার থেকে একটি মিছিল হবে নেতাজিকে স্মরণ করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নেতাজি-র জন্মদিন নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-ই প্রকাশ করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। নেতাজিকে নিয়ে অযথা রাজনীতির অভিযোগ করেছে তাঁরা। সিপিএম-সহ অন্যান্য বামদলগুলিও বিজেপি-কে আক্রমণ করেছে। ভোটের রাজনীতির জন্য নেতাজিকে নিয়ে তৎপরতা বলেই তারা মনে করছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাংলার মণীষিদের নিয়ে রাজনীতি চরমে উঠেছে। সম্প্রতি বীরসা মুণ্ডা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ, ক্ষুদিরাম বসু-সকলকে নিয়েই চলছে রাজনীতি। সন্দেহ নেই ভোট যত এগোবে কে কতটা বাঙালির কাছাকাছি তা প্রমাণের জন্য লড়াই আরও জোরদার হয়ে ওঠারই সম্ভাবনা।