'আর কত চাও, হীরের চচ্চড়ি না সোনার ডাল', দুর্নীতি নিয়ে নেতাদের তুলোধনা মমতার
এদিন ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই বিবাদে জড়ালেন জেলা পরিষদের তিন কর্মাধ্যক্ষ। ই-টেন্ডার নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এই তিন কর্মাধ্যক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হীরের চচ্চড়ি না সোনারডানলা খাবে। তিনি বলেন, কতো চাও, ওত দিতে পারব না। 'তৃণমূল ওত দিতে পারবে না'। এদিনের মঞ্চে, মুখ্যমন্ত্রী এক কর্মাধ্যক্ষকে হুঁশিয়ারিও দেন। 'ধমকালেই অ্যারেস্ট করিয়ে দেব, হুঁশিয়ারি ক্ষুদ্ধ মমতার। নেতাদের খেও-খেইতে অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্নীতির কঙ্কালসার চেহারাটা বারবার বেরিয়ে আসছে সামনে। পশ্চিমবঙ্গেও যে দুর্নীতির গ্রাস যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে তা বারবার টের পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের দুর্নীতি নিয়ে দলীয় নেতা-নেত্রীদের সাবধান করলেন। ২০১৯-২০ সালের একটি উন্নয়নমূলক কাজ কীভাবে ই-টেন্ডারে দুর্নীতির জাতাকলে পড়ে রয়েছে তা নিয়ে এক নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিষয়টি নিয়ে আসেন। এর জন্য দলের দুই নেতা-নেত্রীদের অভিযুক্ত করেন ওই নেত্রী। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের মধ্যে জেলাশাসক এবং অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের জেরা করতে থাকেন। সেই সময়ই তিনি সাবধান করে দেন যে দুর্নীতি প্রমাণ হলে পুলিশ ডেকে গ্রেফতার করিয়ে দেবেন। যদিও, জেলাশাসক এবং অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেন। দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হীরের চচ্চড়ি না সোনারডানলা খাবে। তিনি বলেন, কতো চাও, ওত দিতে পারব না। 'তৃণমূল ওত দিতে পারবে না'।