২০২১ -এর নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ট্রাম্পকার্ড, সেখানেই প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ১৮ তারিখ নন্দীগ্রামে সভা মমতার
- সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই নাম না করে শুভেন্দুকে ইঙ্গিত
- পাশাপাশি নন্দীগ্রামকেই ট্রাম্পকার্ড বানালেন মমতা
- এবার সেখান থেকেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন
- জানান নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মীক সম্পর্কের কথাও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়েছিল নন্দীগ্রাম। ২০২১ যখন তিনি বঙ্গ শাসনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে-র মুখে, ঠিক তখনই সেই নন্দীগ্রামকে ট্রাম্পকার্ড বানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিজের মুখেই ১৮ জানুয়ারি ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে দীর্ঘ কয়েক বছর পরে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে করে তিনি নন্দীগ্রামে পৌঁছন। নন্দীগ্রামকাণ্ডে নিখোঁজ ১০ পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। সভামঞ্চে উঠে তিনি বলেন নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্কের কথা। নাম না করে এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকেও তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কাছে আর্জিও রাখেন। জানান, কোনও ভুল করে থাকলে থাপ্পড় খেতেও তিনি রাজি, তবে তার জন্য মানুষ যেন তাঁদের প্রত্যাখ্যাত না করে। ৩৪ বছরের বাম শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ারে অক্সিজেন জুগিয়েছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ভরসা। সেই শুভেন্দু দল ছেড়ে বিজেপি-তে। আর বিজেপি-তে যোগদানের পর নন্দীগ্রামেও দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের নিয়ে জনসভা করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের চ্যালেঞ্জ যে এত সহজে মমতা ছেড়ে দেবেন না তা রাজনৈতিক মহল মনেই করেছিল। ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করে মমতা পাল্টা চ্যালেঞ্জ-ই কিন্তু ছুঁড়ে দিলেন।