চোখে-মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ, ঘরে ফিরলেও এখনও আতঙ্ক কাটছে না রিপন-এর
ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছে বহু ভারতীয়। ইউক্রেন থেকে বসিরহাটের বাড়িতে ফিরিছেন রিপন সর্দার। বসিরহাটের স্বরূপনগরের সগুনা গ্রামের বাসিন্দা রিপন সর্দার। রবিবার ভোরেই বাড়ি ফেরেন রিপন। বাড়ি ফিরলেও এখনও আতঙ্ক কাটছে না রিপন-এর।
ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরি সীমান্ত, তারপর দিল্লি হয়ে বসিরহাটের স্বরূপনগরের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মমিনপুরের বাড়িতে ফিরলেন দীপন সরদার। ২০২১, সালের ডিসেম্বর মাসে দীপন মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের কিভে। বাবা আনারুল সর্দার পেশায় কৃষক, জমি বিক্রি করে একমাত্র ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিল। রিপন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। টিভিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে প্রতিটা মুহূর্তে সর্দার পরিবারের হতাশা আতঙ্ক আর রাতের ঘুম নষ্ট হয়েছিল। যুদ্ধের এগারতম দিনের মধ্যে ছেলেকে কাছে পেয়ে ইতিমধ্যে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন বাবা-মা বন্ধুবান্ধব প্রতিবেশীরা। রিপন জানাচ্ছেন কিভ থেকে হাঙ্গেরি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আটশ কিলোমিটার কখনও বাসে আবার কখনও ট্রেনে, আবার কখনও পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছতে হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০, হাজার টাকা নিজের খরচ করতে হয়েছে। কখনও স্টেশনে আবার কখনও সীমান্তে রাত জেগে বসে থাকতে হয়েছে। জল খাবার ঠিকমতো পাওয়া যায়নি। এখনও বহু ছাত্র-ছাত্রী কিভে আটকে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভারত সরকার তাদেরকে দেশে ফেরাক। রিপনের মা হাজেরা বিবি বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি মেডিক্যাল পড়ানোর জন্য এদেশে ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খুব উপকৃত হব। পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। বাবা আনারুল সর্দার বলেন, আমি জমি বিক্রি করে ছেলেকে মেডিক্যাল পড়ার জন্য ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়, ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে তাই দিনরাত এক করে খাওয়া-ঘুম বন্ধ করে তাকিয়ে ছিলাম। রিপন ঘরে ফিরেছে এটাই আমাদের কাছে বড় পাওয়া।