ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরল সৌমাল্য, ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মা-বাবা

উৎকন্ঠা কাটিয়ে ঘরে ফিরল বাঁকুড়ার সৌমাল্য। বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি বাসিন্দা সৌমাল্য মুখোপাধ্যায়। ২০২০ সালে ডাক্তারি পড়তে বাঁকুড়ায় যায় সৌমাল্য। ইউক্রেনের এই পরিস্থিতিতে রাতের ঘুম ওড়ে তাঁর পরিবারের। অবশেষে ছেলে ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তাঁর পরিবার। শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসে সৌমাল্য।

/ Updated: Mar 07 2022, 03:38 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিল ইউক্রেনে সেখানের যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে অনান্য ছাত্র ছাত্রীদের মতো নিজের বাড়ি  ফিরে এল সৌমাল্য। প্রবল উতকন্ঠায় থাকা পরিবার ছেলে ফিরে আসায় আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস পেল  বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি উত্তরপ্রনবানন্দ পল্লীর মুখার্জী পরিবার। বাঁকুড়া শহরের উত্তর প্রনবানন্দপল্লীর বাসিন্দা সৌমাল্য  মুখার্জী। বাবা উত্তম মুখার্জী পেশায় হাই স্কুলের শিক্ষক। মা সোমা মুখার্জী গৃহবধু। দুই ছেলেকে স্ত্রী কে নিয়ে উত্তম বাবুর সংসার।  ইউক্রেনের ভিয়েন খারাজিন খারকিভ ন্যাশান্যাল ইউনিভার্সিটি তে ডাক্তারী পড়ায় সুযোগ পায় বাঁকুড়ার মেধাবী ছাত্র সৌমাল্য মুখার্জী। ছেলের ডাক্তারী হওয়ার স্বপ্ন সফল করতে পিছপা হয়নি মুখার্জী পরিবার। ২০২০ সালে ২০ জুন মাসে ডাক্তারী পড়ার লক্ষ্যে সৌমাল্য পৌঁছে যায় ইউক্রেনে ওই ইউনিভার্সিটিতে। গত বছর মে মাসে বাড়ি এসেছিল এবং মাস ছয় বাড়িতে কাটিয়ে ফের অক্টোবর মাসে ফিরে যায় সেখানে। তারপর থেকে সেখানেই ডাক্তারী পাঠরত বাঁকুড়ার মেধাবী ছাত্র সৌমাল্য মুখার্জী।  ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ইউক্রেনে জ্বলছে যুদ্ধের আগুন। যত বাড়ছে ইউক্রেন জুড়ে একের পর বোমা, মিসাইল হানা ততই উদ্বেগ বেড়েছে বাঁকুড়ার সৌমাল্যের পরিবারের। যেদিন থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই হোস্টেলের বাংকারে রাখা হয়েছিল মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া পড়ূয়াদের। সেখান থেকেই মাঝে মাঝে বাবা মায়ের সাথে কথা বলত সে। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতির খবরে প্রবল উৎকন্ঠা দিন কাটছিল পরিবারের। কিভাবে ছেলেকে ফিরে আসবে বাঁকুড়ায় সেই চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছিল পরিবারের। একদিকে আগুন, বোমা, গুলিতে ইউক্রেনের পরিস্থিতি যত অবনতি হচ্ছে ততই ছেলেকে নিয়ে আরও উদ্বেগ বেড়েছে পরিবারের। ছেলেকে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরিয়ে দেবার আহ্বান করেছিল সৌমাল্যের পরিবার। অবশেষে উতকন্ঠার অবসান শনিবার রাতে বাঁকুড়ায় নিজের বাড়ি ফিরে আসে সৌমাল্য। খুশি পরিবার। তবে চোখের সামনে একের পর এক মিসাইল হানা, বোমা গুলির শব্দের আতংক এখনও কাটেনি সৌমাল্য।