করোনার জেরে কাজ তেমন নেই, পুজোর আগে চরম সঙ্কটে দিন কাটছে মৃৎশিল্পীদের

পুজো এখন দরজার কড়া নাড়ছে। তবে করোনা আবহে পুজো এখনও অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে। বাজেটও কমেছে বড় বড় ক্লাব গুলোর। ইতিমধ্যেই কাঠামোর গায়ে মাটি লাগিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছেন শিল্পীরা। তবে করোনার জেরে আগের থেকে চাহিদা কমেছে অনেকটাই। তাই চরম সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ছোট ছোট মৃৎ শিল্পীরা। অন্যদিকে, ক্লাবগুলোর জন্য অনুদানের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই ভাতার দাবি জানিয়েছেন মৃৎ শিল্পীরা। কাজ তেমন নেই, টাকা রোজগার যা হচ্ছে তার অধিকাংশই খরচ হয়ে যাচ্ছে ঠাকুর তৈরি করতে গিয়েই। তাই চরম যন্ত্রনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। পুরোহিতরা ভাতা পেলেও তাঁরা তেমন কিছু পাননা। এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন মৃৎশিল্পী শঙ্কর পাল, শঙ্কর বাবুর দাবি মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যে ক্লাবগুলোর কথা ভেবেছেন সে ভালো কথা, তবে সাধারণ শিল্পীদের খুবই দুরাবস্থা এবং সেই কথা যদি মুখ্যমন্ত্রী একটু ভাবেন তবে ভালো হয়, জানালেন মৃৎশিল্পী ভানু পাল। ক্লাবগুলোর জন্য অনুদানের ঘোষণা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পাল। নির্বাচনে জেতার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা, জানালেন বিজেপি নেতা। ক্লাবগুলোর জন্য দান ছত্র খুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই একাধিক কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিশ্বজিৎ পাল। ক্লাবগুলোর জন্য অনুদান ঘোষণা করায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন মৃৎশিল্পীরা। আর্থিক সঙ্কটের কারণে ক্লাবগুলো যেখানে পুজোর কথা ভেবেও পিছিয়ে যাচ্ছিল, সেখানে আবার পুজো করার কথা ভাবছে সেই সমস্ত ক্লাব। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য় পেলে ছোট ছোট শিল্পীদের কিছুটা সুবাধা হয়। এখন সেই সাহায্যের আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
 

/ Updated: Sep 10 2021, 11:09 AM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

পুজো এখন দরজার কড়া নাড়ছে। তবে করোনা আবহে পুজো এখনও অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে। বাজেটও কমেছে বড় বড় ক্লাব গুলোর। ইতিমধ্যেই কাঠামোর গায়ে মাটি লাগিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছেন শিল্পীরা। তবে করোনার জেরে আগের থেকে চাহিদা কমেছে অনেকটাই। তাই চরম সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ছোট ছোট মৃৎ শিল্পীরা। অন্যদিকে, ক্লাবগুলোর জন্য অনুদানের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই ভাতার দাবি জানিয়েছেন মৃৎ শিল্পীরা। কাজ তেমন নেই, টাকা রোজগার যা হচ্ছে তার অধিকাংশই খরচ হয়ে যাচ্ছে ঠাকুর তৈরি করতে গিয়েই। তাই চরম যন্ত্রনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। পুরোহিতরা ভাতা পেলেও তাঁরা তেমন কিছু পাননা। এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন মৃৎশিল্পী শঙ্কর পাল, শঙ্কর বাবুর দাবি মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যে ক্লাবগুলোর কথা ভেবেছেন সে ভালো কথা, তবে সাধারণ শিল্পীদের খুবই দুরাবস্থা এবং সেই কথা যদি মুখ্যমন্ত্রী একটু ভাবেন তবে ভালো হয়, জানালেন মৃৎশিল্পী ভানু পাল। ক্লাবগুলোর জন্য অনুদানের ঘোষণা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পাল। নির্বাচনে জেতার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা, জানালেন বিজেপি নেতা। ক্লাবগুলোর জন্য দান ছত্র খুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই একাধিক কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিশ্বজিৎ পাল। ক্লাবগুলোর জন্য অনুদান ঘোষণা করায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন মৃৎশিল্পীরা। আর্থিক সঙ্কটের কারণে ক্লাবগুলো যেখানে পুজোর কথা ভেবেও পিছিয়ে যাচ্ছিল, সেখানে আবার পুজো করার কথা ভাবছে সেই সমস্ত ক্লাব। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য় পেলে ছোট ছোট শিল্পীদের কিছুটা সুবাধা হয়। এখন সেই সাহায্যের আশাতেই দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।