জীবনতলা শ্যুট-আউটে গ্রেফতার তিন, ২৪ ঘন্টার আগেই গ্রামবাসীদের হাতেই ধরা পড়ল তিন অভিযুক্ত

  • জীবনতলায় গুলি চালনার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা 
  • গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ তৃণমূল কর্মী
  • সেই ঘটনায় গ্রেফতার হল তিন অভিযুক্ত
  • মোঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসীরাই ধরে ফেলে তাদের
     
/ Updated: Nov 03 2020, 12:37 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

জীবনতলা শ্যুট-আউটে বিজেপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার অভিযোগ, এলাকায় খুনের রাজনীতি করতে ভাড়াটে খুনি নিয়ে এসেছিল বিজেপি। যদিও, শওকত মোল্লার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিজেপি নেতৃত্ব। তারা এই গুলি চালনার ঘটনার জন্য পাল্টা তৃণমূলের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে। বিজেপি-র অভিযোগ, 'শওকত মোল্লা নিজেকে একবার দেখুন। খুনের রাজনীতি করা বিজেপি-র সংস্কার নয়। সকলেই জানে, এই এলাকায় ভেড়ি দখল থেকে শুরু করে তোলাবাজি নিয়ে সারাক্ষণ নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করে তৃণমূল কংগ্রেস। একে অপরকে গুলি করা এদের কাছে জলভাত। আর শওকত মোল্লা যেখানে বারবার দাবি করে এসেছেন, তাঁর এলাকায় বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব নেই। বিজেপি-র কিছুই করার ক্ষমতা নেই। সেখানে বিজেপি কোথায় থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখাবে। এটা পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তদ্বন্দ্বের ফল।' 

রাজনৈতিক এই চাপান উতোর-এর মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা এখন চরমে জীবনতবার কুড়িভাঙা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিন জনের শরীর থেকে গুলি বের করা হলেও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এঁদের নাম মাজেদ গাজি মোসলেম আলি মোল্লা এবং আলমগীর গাজি। একজনের ফুঁসফুঁস-এর পাশ ঘেঁষে এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে গুলি। আর অন্যজনের পেটে গুলি লেগেছে। অপর একজনের উরুতে গুলির আঘাত লেগেছে। 

এদিকে, অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীকে মঙ্গলবার সকালে জীবনতলার গোবিন্দপুর মোড় থেকে ধরা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৃণমূলকর্মীরা এলাকা ঘিরে রেখেছিলেন। সেই ব্যারিকেডে ধরা পড়ে যায় এই তিন দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তৃণমূলকর্মীরা খবর পান তিন দুষ্কৃতী একটি মোটরভ্যানে করে গোবিন্দপুর এলাকা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। এরপর সেখানে ব্যারিকেড তৈরি করে স্থানীয় মানুষ। প্রথমে একটি অটোকে আটকানো হয়। কিন্তু, সেখানে তিন জনকে পাওয়া যায়নি। এরপরই পিছনে মোটর ভ্যানে অভিযুক্ত তিনজনকে দেখতে পান স্থানীয়রা। লাঠিসোটা নিয়ে অভিযুক্তদের উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিন জনকে বেঁধে ফেলা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শাটার বন্দুক এবং নাইন এমএম ম্যাগাজিন। এছাড়াও উদ্ধার হয় প্রচুর কার্তুজ। স্থানীয়রা জানিয়েছে, এক অভিযুক্তের কাছে আরও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কিন্তু, ধস্তাধস্তির সময় সে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাশের নয়ানজুলিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।