মাছ-বিক্রেতার মেয়ের সাফল্যের কাহিনি, আভাবে বাড়ি বাড়ি বাসন মেজেও উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম রীতা
৪৯২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দিলেন মাছ ওয়ালার মেয়ে রীতা হালদার। তিনিও লোকের বাড়ির বাসন মেজেছেন। মা বাড়িতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। অভাবের সংসার। মোটের ওপর নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।
৪৯২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগিয়ে দিলেন মাছ ওয়ালার মেয়ে রীতা হালদার। তিনিও লোকের বাড়ির বাসন মেজেছেন। মা বাড়িতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। অভাবের সংসার। মোটের ওপর নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। টিনের চালের বাড়ি। দিনের আলো ঘরে ঢোকে না। সেখান থেকেই অভাব আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন রীতা। রীতার যুদ্ধ জয়ের সবরকমভাবে সাহায্য করেছেন তাঁর বাবা ও মা। তাই মেয়ের যুদ্ধজয়ে তাঁদের মুখেও গর্বের হাসি। কলা বিভাগের তাঁর প্রাপ্ত নম্বর রীতিমত অবাক করার মত। আগামী দিনে অনার্স নিয়ে পড়তে চান রীতা। তবে কোন বিষয় নিয়ে পড়বেন তা এখনও ঠিক করতে পারেননি তিনি। কারণ অভাবের সংসারে টাকাকড়ি জোগাড়ের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। মনের গোপনে সুপ্ত ইচ্ছে ইংরেজিতে অনার্স পড়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।