ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন গুজরাট উপকূলে আঘাত হানবে। এই সময়ে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর, জামনগর, রাজকোট, জুনাগড় এবং মোরবিতে আছড়ে পড়বে।
এই দিন ১৩৫-১৪৫ কিলোমিটার বেগে একটি ঝড় হতে পারে। এই সময় ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে এবং ভারী বৃষ্টি হবে।
অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়-এ পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ভারতের পশ্চিম উপকূলগুলিতে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। গুজরাটে তিথাল সৈকতে তাণ্ডব দেখাচ্ছে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ।
NDRF ইতিমধ্যে ১২টি দল মোতায়েন করেছে, নৌকা, গাছ কাটার যন্ত্র, টেলিকম সরঞ্জাম ইত্যাদি দিয়ে তৈরি রয়েছে এবং ১৫ টি দলকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, করাচি এবং অহমদাবাদের মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘূর্ণিঝড় ধংসাত্মক রূপ ধারণ করেছে। গুজরাট এবং পাকিস্তানের করাচি পেরিয়ে ভারতের উত্তর দিকে মুখ করেছে।
১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে উপকূলে সতর্কতা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে, মান্ডভি উপকূলে ক্রমাগত পুলিশি টহলদারি চলছে। সমস্ত মানুষদের সমুদ্র উপকূল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কচ্ছ, পোরবন্দর, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড় এবং মরবি উপকূলীয় জেলাগুলিতে সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী লোকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
কচ্ছের উপকূলীয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, তৈরি রয়েছে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলগুলি।
আবহাওয়া দফতর দ্বারকা, পোরবন্দর, জুনাগড়, দাহোদ, ছোট উদেপুর, নর্মদা, ভরুচ, ভালসাদ, নভসারি, তাপি, ভাদোদরা, ডাং, আমরেলি, ভাবনগরে তিন ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
১৪ই জুন কমলা সতর্কতা ও ১৫ জুন সমস্ত জেলার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পোরবন্দরের ৩১টি গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।