যখনই কোনও আইএএসের বিবাহবিচ্ছেদের কথা আসে, তখনই টিনা ডাবির কথা উল্লেখ করা হয়, যাঁর কাশ্মীর এর আইএএস অফিসার আতহার আমির খানের সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। অনন্যা দাসের গল্পও একই রকম।
অনন্যা ওড়িশা ক্যাডারের আইএএস অফিসার। তিনি মূলত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যিনি অল্প বয়সে বিবাহবিচ্ছেদের কষ্ট সহ্য করেছেন। প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসি পাশ করে ১৬তম স্থান অধিকার করেন।
আইএএস হওয়ার পরে অনন্যা ২০১৮ সালে মোহাম্মদ আবদাল আখতারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাঁদের এই বিয়ে মাত্র ৩ বছর টিকেছিল এবং তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদ করেন।
অনন্যা দাস পশ্চিমবঙ্গ এ থেকে তাঁর স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। তিনি রাজস্থানের পিলানির বিড়লা ইনস্টিটিউট থেকে টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সে এমএসসি-ও করেছেন।
অনন্যা ওরেকল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে প্রায় ৮ মাস কাজ করেন এবং তারপরে তিনি জয়পুরের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে এক্সিকিউটিভ ইন্টার্ন হিসাবে ৩ মাস কাজ করেন।
বিবাহবিচ্ছেদের পরে অনন্যাও টিনা ডাবির মতো দ্বিতীয় জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পরে আইএএস অফিসার চঞ্চল রানাকে বিয়ে করেন। যিনি ২০১৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার।
রানারও অনন্যার মতো বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। যিনি তাঁর স্ত্রী স্বধা দীপ সিংকে তালাক দিয়েছিলেন। বর্তমানে অনন্যা ও চঞ্চল রানার বিয়ে ৪ বছর হয়েছে এবং তাঁরা দুজনেই খুব খুশি।