ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সর্বশেষ ও সবথেকে বড় গণআন্দোলন হল ৪২-র বিপ্লব বা ভারত ছাড়ো আন্দোলন। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন
ভারত ছাড়ো আন্দোলন একটি শান্তিপূর্ণ এবং অহিংস আন্দোলন বলে মনে করা হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে এবং স্বাধীনতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো
মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশের স্বাধীনতার জন্য অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন এবং লবণ সত্যাগ্রহ সহ বেশ কয়েকটি আন্দোলন শুরু করেছিল
ব্রিটিশ সরকার ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চাইছিল না বরং ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতি গ্রহণ করেছিল
মহাত্মা গান্ধী ৮ই আগস্ট, ১৯৪২-এ ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করেন। তিনি বলেছিলেন “প্রত্যেক ভারতীয় যে স্বাধীনতা চায় এবং এর জন্য সংগ্রাম করে তার নিজের পথপ্রদর্শক হতে হবে।”
ইংরেজ সরকার ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রতি সমস্ত শক্তি দিয়ে সাড়া দিয়েছিল, সারা দেশে দমন-পীড়নের ঢেউ উঠেছিল, হাজার হাজার ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়
সরকার বিক্ষোভ দমন করতে হিংসার আশ্রয় নেয়।১৯৪৩ সাল নাগাদ এই আন্দোলন একটি গণআন্দোলনে পরিণত হয়, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় বিক্ষোভ, ধর্মঘট এবং আইন অমান্যতে অংশগ্রহণ করে
ভারত ছাড়াে আন্দোলন ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের চৃড়ান্ত পর্যায়, ব্রিটিশ শাসনের প্রতি ভারতবাসীর ঘনীভূত ক্ষোভ ও তার থেকে মুক্তির অজেয় সংকল্প এই বিদ্রোহে সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়েছিল
জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন “নেতা সংগঠন নেই, উদ্যোগ আয়োজন কিছু নেই, কোনও মন্ত্রবল নেই, অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মপ্রচেষ্টার আর কোনও পথ না পেয়ে বিদ্রোহী”