সমোসা ও জলেবির মতো তৈলাক্ত ও মিষ্টি খাবারের উপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি করেছে। জানুন বিশদে।
রবিবার জলেবি-সমোসার নাস্তা না হলে ভারতীয় ঘরের দিন যেন অসম্পূর্ণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমোসা-জলেবি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে যা জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে।
দেশে স্থূলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তেল ও চিনিযুক্ত খাবারের জন্য সতর্কতামূলক বোর্ডকে জরুরি। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে ৪৪.৯ কোটি মানুষ স্থূলতায় আক্রান্ত হতে পারে।
সমোসা ও জিলাপিকে তামাকের মতোই গুরুতর বিপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে যাতে তারা বুঝতে পারে এই খাবারগুলিতে কতটা চর্বি ও চিনি আছে।
এইমস নাগপুরের কর্মকর্তারা বলেছেন যে ক্যাফেটেরিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় এই ধরনের সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো হোক।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে শুধু সমোসা ও জিলাপি নয়, পরীক্ষার সময় লড্ডু, ভড়া পাও এবং পকোড়াকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সমোসা ও জিলাপিতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি ও তেল থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট শরীরের জন্য তামাকের মতোই ক্ষতিকর। এই কারণেই সমোসা ও জিলাপির দোকানের বাইরে সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।
দেশের কোনও অংশেই জিলাপি ও সমোসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না। নাগপুরে এই উদ্যোগের সূচনা হবে। জিলাপি ও সমোসার দোকানের বাইরে বোর্ডে চর্বি ও চিনির পরিমাণের তথ্য দেওয়া থাকবে।