Bangla

বাঙালির উৎসব মানেই ভুরিভোজ, আর ভুরিভোজ মানেই ভুঁড়ি-ভোজ!

খাবার-ঘুম-শরীরচর্চা সব রুটিনের দফারফা। যথেচ্ছ পরিমাণে রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে দশমী থেকে হাঁসফাঁস শুরু। উৎসব পেরিয়ে এ বার পেটের সমস্যায় ফাঁপরে পড়েছেন অনেকেই। এই সমস্যা এড়াতে কী করবেন?

Bangla

উৎসবের সময়ে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হতেই পারে,

এর দরুন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও অসম্ভব নয়। অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকলে তার মাত্রাও ওঠানামা করতে পারে। হরমোনের সমস্যা থাকলে তাও বাড়তে পারে।

Image credits: Our own
Bangla

এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়েরিয়াও হতে পারে।

তাই, উৎসবের আমেজ মিটে গেলেই খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ সীমিত করে দেওয়া ভালো। প্রয়োজনে হজমের ওষুধও খেতে পারেন।

Image credits: Our own
Bangla

অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে থাকলে

অবশ্যই পরেরদিন সকালবেলা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রত্যেকদিনের হালকা শরীরচর্চা বা হাঁটা থামাবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজনীয়।

Image credits: freepik
Bangla

যোগব্যায়ামের পাশাপাশি মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

নিয়মিত ধূমপান বা মদ্যপান অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস এবং লিভারের সমস্যা ডেকে আনে। এই অভ্যেসগুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

Image credits: Freepik
Bangla

জাঙ্ক ফুড খেয়ে শরীরে ক্যালোরি জমে থাকতে পারে প্রবল,

এ বার ওজন ঝরানোর দিকে মন দিতে হবে। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এই ক’দিনে বাইরে ঘুরে ঘুরে জলও কম খাওয়া হয়েছে, জল আমাদের শরীরকে ডিটক্স করে।

Image credits: Getty
Bangla

পুজোর পর থেকেই প্রত্যেকদিন যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।

সম্ভব হলে পাতিলেবু মেশানো জল খেতে পারেন। এছাড়াও, কোন সময়ে কোন খাবার খাচ্ছেন, সে দিকে নজর রাখতে হবে। জলখাবারে চিঁড়ে অথবা মুড়ি, অর্থাৎ হালকা খাবার খেতে পারেন।

Image credits: freepik
Bangla

অফিসে বেরোতে হলে ভাত অথবা রুটি খান।

তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি আর একটা ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন। দুপুরের খাবারে থাকল ভাত, ডাল, সবজির তরকারির সঙ্গে মাছ অথবা চিকেন খেতে পারেন।

Image credits: Freepik
Bangla

খাবার পর টক দই আবশ্যক।

সন্ধেবেলা দুটো পাউরুটির সঙ্গে অল্প স্যালাড খেতে পারেন, অথবা সুজির উপমাও চলতে পারে। ডিনারে ভাত অথবা রুটির সঙ্গে সবজির তরকারি অথবা যেকোনও প্রোটিন জাতীয় খাবার।

Image credits: Getty
Bangla

সারাদিনে বিভিন্ন রকমের ফল খেতে পারে।

তবে, এই ডায়েটের সঙ্গে অবশ্যই নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করুন। যোগাসন করতে না পারলে প্রত্যেকদিন খালি পেটে নিয়ম করে সময় মেপে জোরে জোরে হাঁটুন।

Image Credits: freepik