সন্তানের জীবনে সুখ আর সফলতায় মায়ের ভূমিকা অনেকটাইই, একজন সফল সন্তানের জীবনে বাবা ও মা দুজনেরই গুরুত্ব সমান, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলে হোক বা মেয়ে - মায়ের ওপরই বেশি নির্ভর করে।
চাকুরিরতা মা হোক বা হোমমেকার মা- ছোটবেলায় তাদের জীবনে শেষ কথা কিন্তু মা-ই বলে। তাই সন্তানের সাফল্যের সিঁড়ি হওয়ার জন্য মায়ের মধ্যে কতগুলি গুণ থাকাটা ভীষণ জরুরি
সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে - সে কী বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনতে হবে। ধৈর্য্য ধরে সন্তানের কথা শুনুন। সেই সময়টা সন্তানের জন্য রেখে দিন। সন্তান কিছু বলতে গেসে থামিয়ে দেওয়াটা কিন্তু ঠিক নয়।
সন্তানের ওপর জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেবেন না। প্রয়োজনে তাকে বোঝান। তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করুন। কিন্তু কখনই বকাঝকা করে তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবেন না
মারধর না করাই শ্রেয়। তাহলে সন্তান অপনার থেকে দূরে সরে যেতে পারে। বকাঝকা করলেই কিছুক্ষণ পরে সন্তানকে নিজের কাছে টেনে নিন। ভালবাসা আর আদর দিন। সন্তানের সঙ্গে মন কষাকষি না করাই শ্রেয়।
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় একা একা কাটায়। বন্ধুর সংখ্যাও কম। তাই আপনিই হয়ে উঠুন বন্ধু। তাঁর স্কুলের কথা কোচিং কথা জানতে চান। তার বন্ধুদের সঙ্গে তারই মাধ্যমে আলাপ করে নিন
প্রয়োজনে ছেলে বা মেয়ের বন্ধুদের ও তাদের মায়েদের নিয়ে আউটিং-এর প্রগ্রাম করতেই পারেন। এতে সময় ভাল কাটবে। জানতে পারবেন আপনার সন্তানের বন্ধুরা কেমন পরিবেশ থেকে এসেছে
সব মা-ই সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবুই এই দিকটা জোর দেওয়া জরুরি।সন্তানের আস্থা অর্জন করা খুব জরুরি। খেয়াল রাখবেন সে যেন আপনার থেকে কোনও কিছু না লুকিয়ে যায়
শপিং করুন সন্তানকে নিয়ে। তার মন বুঝে তারই মত জিনিস কিনে দিন। তাহলে আগামী দিনে তার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধে হবে। কেনাকাটার মাধ্যমে অপরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলাও শিখবে।
সন্তানকে কখনই কটাক্ষ করবেননা, তুলনা টানবেন না অন্য বন্ধুদের সঙ্গে। তাহলে সন্তানের মধ্য হীনমন্যতা তৈরি হবে। কোনও ক্ষেত্রেই সে সাবলীল হতে পারবে না। তার নিজের গুণটা তুলে ধরতে পারবে না