Travel

ভারত হল মন্দিরে ভরা একটি দেশ।

এখানকার প্রত্যেকটি মন্দিরের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং কাহিনী রয়েছে। এমনই একটি মন্দির হল হাসানাম্বা মন্দির (Hasanamba Temple)। 

Image credits: Our own

কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত

অতি জাগ্রত দেবী হাসানাম্বার মন্দিরের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এই মন্দির ভক্তদের জন্য বছরে মাত্র একবার খোলে, তাও আবার মাত্র ৭ দিনের জন্য।

Image credits: Our own

সারা বছর হাসানাম্বা মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে,

শুধুমাত্র দীপাবলির সময় এক সপ্তাহের জন্য ভক্তদের মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তাও সর্বক্ষণের জন্য নয়, নির্দিষ্ট কিছু সময়েই দর্শনার্থীরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।

Image credits: Our own

প্রত্যেক বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে

দীপাবলির মরসুমে কর্ণাটকের এই জাগ্রত মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। রোজ সকাল ৭টা থেকে ১০টা, দুপুর ৩টে এবং রাত ১০টায় মন্দিরে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারেন।

Image credits: Our own

চলতি বছরে এই মন্দির খুলেছে ২ নভেম্বর থেকে।

মনে করা হয়, যে ব্যক্তিরা ভীষণ ভাগ্যবান শুধুমাত্র তাঁরাই এই মন্দিরে পুজো দিতে পারেন। হাসানে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী হাসানাম্বার আরাধনা করা হয়।

Image credits: Our own

শোনা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হয়েছিল।

কে বা কারা এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা এখনও অজানা। হাসানাম্বা মন্দির যেহেতু বছরভর বন্ধ থাকে, সেই জন্য দেবীর কাছে দু’ব্যাগ চাল, ফুল, জ্বলন্ত প্রদীপ এবং জল রেখে দেওয়া হয়।

Image credits: Our own

এছাড়া মন্দিরের ভেতরে একটি ঘিয়ের প্রদীপ রেখে দেওয়া হয়।

যতদিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে, ততদিন এই প্রদীপ জ্বলবে বলে বিশ্বাস করা হয়।

Image credits: Our own

কর্ণাটকের এই জাগ্রত মন্দির ঘিরে একাধিক কাহিনীও শুনতে পাওয়া যায়।

অনেকে বলেন, একবার স্বর্গ থেকে নেমে এসে পৃথিবী ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন সাত জন দেবী। 

Image credits: Our own

পৃথিবী ভ্রমণে বেরিয়ে কর্ণাটকে এসে

হাসানের সৌন্দর্য দেখে তাঁরা বিস্মিত হয়ে যান এবং সেখানেই থাকার কথা ঠিক করেন। এরপর থেকে সেখানে পূজিত এইসকল দেবীরা।

Image credits: Our own