রহস্যের হাতছানিতে এখনও পর্যটকরা ভিড় করে থাকেন এমন কিছু জায়গায় জ়ড়িয়ে রয়েছে অলৌকিক।অন্যতম হল রাজস্থানের ভানগড় দুর্গ ও কুলধারগ্রাম, দার্জিলিংও আছে ভুতুড়ে জায়গা।
শনিওয়ারবাদা ১৭৩০ সালে তৈরি করেছিলেন প্রথম বাজিরাও। ১৮২৮ সালে এই দুর্গে আগুন লেগেছিল। তাতে একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। বাকি অংশটা পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত
এই দূর্গের গল্পের সঙ্গে যুক্ত পেশওয়া নারায়ণরাও। মনে করা হয় নারায়ণ রাওয়ের অতৃপ্ত আত্মা এখনও এই দূর্গে ঘুরে বেড়ায়। পূর্ণিমার রাতে নাকি তাঁর কান্নাভরা আর্তনাদ শোনা যায়
দেশের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি। এই বিমান বন্দরের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে ভূতুড়ে আখ্যান। অনেকেই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ভূতের দেখা পেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন। প্রথম দেখেন এক পাইলট।
কলকাতার প্রাচীন এই ঐতিহ্যের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে ভুতুড়ে গল্প। রাইটার্সে নাকি ঘুরে বেড়ায় সিম্পসন সাহেবের আত্মা। রাতে রাইটার্সে অনেকেই তাঁর পায়ের আওয়াজ আর কান্নার শব্দ শুনেছেন।
টিভি সিরিয়াল আর ফিল্মের শ্যুটিংএর জন্য বলিউড পরিচালকদের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় স্থান। এখানে একাধিক ছবি ও সিলিয়াল শ্যুট হয়েছে। কিন্তু এই মিলের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে অদ্ভূত গল্প।
মুম্বইয়ের কোলাবায় রয়েছে মুকেশ মিলস। বিপাসা বসু জানিয়েছেন এই মুকেশ মিলসে শ্যুটিংএর সময় তাঁর সঙ্গে অদ্ভুত অনেক ঘটনা ঘটেছিল।
স্থানীয়দের কথা এই দূর্গেই বাস করে এক জাদুকরের অতৃপ্ত আত্মা। জাদুকর ভানগরের রাজকুমারির প্রেমে পড়েছিলেন। এখনও এই দূর্গে ঢুকলে অস্বস্তি বোধ করেন পর্যটকরা।
সূর্যাস্ত থেকে সূর্যদয়ের মধ্যে এই দুর্গে প্রবেশ নিষেধ। রাতে যাঁরা গেছেন তাঁদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
রাজস্থানের কুলধারা গ্রাম প্রায় দেড়হাজারের বেশি পিলিওয়াল ব্রাহ্মণের বাসভূমি ছিল। কিন্তু একদিন রাতরাতি সেই সেই গ্রাম ছেড়ে চলে যায় সবাই। কিন্তু কেন? সেই রহস্যের সমধান হয়নি এখনও।
লোককথা অনুযায়ী এই গ্রামের রাজা ছিলেন সেলিম সিং। তিনি ছিলেন শক্তিশালী, নৃশংস আর বর্বর। রাজার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একরাতে হঠাৎই গ্রামের বাসিন্দার একসঙ্গে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়।
দার্জিলিং থেকে অদূরে ডাউ হিল। রাতের অন্ধকারে সেখানে গেলে নাকি অদ্ভূত অনুভূতিও হয়। ডাউহিল স্টেশনও রাতের অন্ধকারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা পারতপক্ষে রাতে বাড়ির বাইরে বার হন না।