নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা হার্দিকের মনে ছিল স্বপ্ন। বাবা হিমাংশু পান্ডিয়ার ছিল ছোট একটি কার ফিন্যান্সের ব্যবসা।
চূড়ান্ত অভাবের সংসারেও তিনি ছেলেকে ভর্তি করে দেন ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে। সকালবেলায় ব্রেকফাস্ট জুটত কি জুটত না, কিন্তু খেলা থামাননি। কখনও হয়ত লাঞ্চ আর ব্রেকফাস্ট একসঙ্গেই হত।
জেদ আর ইচ্ছে থাকলে, প্যাশনকে জয় করা সম্ভব। তার প্রমাণই যেন দিয়ে গেলেন হার্দিক। টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে নিলেন বড় ভূমিকা।
প্রচণ্ড চাপের মাঝেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে দায়িত্ব সামলে গেলেন। ফাইনালের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর ইকোনমি রেট ৬.৭০।
গত ২০২০ সালের ৩১ মে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাতীয় দলের ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া এবং সাইবেরিয়ার মডেল তথা নৃত্যশিল্পী নাতাশা স্ট্যানকোভিচ।
কিন্তু ইতিমধ্যেই সমস্ত জল্পনা সত্যি করে তারা দুজনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হার্দিকের পরিসংখ্যানই প্রমাণ দেয় যে, তিনি কত বড় মাপের একজন ক্রিকেটার। সবধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১২,০৩২ রান।
সমস্ত ফরম্যাট মিলিয়ে হার্দিকের সংগ্রহে মোট ৫০৭টি উইকেট। কার্যত, আগুনে বোলিং যাকে বলে।
রিপোর্ট অনুযায়ী হার্দিকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিসিসিআই-এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, সেখান থেকে তিনি পান ৫ কোটি টাকা।
হ্যাঁ, জাতীয় দলের অধিনায়ক হতে পারতেন। কিন্তু বিসিসিআই আসন্ন সিরিজের জন্য বেছে নিল সূর্যকুমার যাদবকে।