কাঠমাণ্ডুর একটি হোটেলে ১৭ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ২০২২-এর অক্টোবরে গ্রেফতার হন নেপালের ক্রিকেটার সন্দীপ ল্যামিছানে। তবে পরে জামিন পেয়ে যান তিনি।
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর অবশ্য ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন সন্দীপ ল্যামিছানে।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর এ বছরের জানুয়ারিতে নেপালের একটি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান সন্দীপ ল্যামিছানে। তাঁকে নেপালের মুদ্রায় ২০ লক্ষ টাকায় জামিন দেওয়া হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই নেপালের জাতীয় দল থেকে নির্বাসিত হন সন্দীপ ল্যামিছানে। তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানো হয়।
নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে বয়কটের মুখে পড়েন সন্দীপ ল্যামিছানে। স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তাঁর সঙ্গে করমর্দন করতে রাজি হননি।
আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরেও সন্দীপ ল্যামিছানের বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে পরবর্তীকালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ছিলেন সন্দীপ ল্যামিছানে। এই লেগ-স্পিনার বিগ ব্যাশ লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগেও খেলেছেন।
বৃহস্পতিবার ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেল নেপাল। এই ম্যাচে প্রথমে ৫০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সন্দীপ ল্যামিছানে। এরপর তিনি ১ রান করেন।
ওডিআই, টি-২০ মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচে নেপালকে নেতৃত্ব দেন সন্দীপ ল্যামিছানে। তবে গ্রেফতার হওয়ার পর অধিনাকত্ব হারাতে হয় তাঁকে।
নেপালের হয়ে ওডিআই ম্যাচে ১০০-র বেশি উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ ল্যামিছানে। টি-২০ ম্যাচে ৮৫ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ-স্পিনার।