১৯৯০ সালে অঞ্জলি মেহতার সঙ্গে আলাপ হয় সচিন তেন্ডুলকরের। তিনি তখন উঠতি ক্রিকেটার। ১৯৯৫ সালের ২৪ মে তাঁদের বিয়ে হয়। পেশায় চিকিৎসক অঞ্জলি। তবে বিয়ের পর তিনি ডাক্তারি ছেড়ে দেন।
সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে বিয়ের পর নিজের পেশা নিয়ে আর ভাবেননি অঞ্জলি। তাঁর এই আত্মত্যাগের যোগ্য প্রতিদান দিয়েছেন সচিন। তিনি বরাবর স্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে এসেছেন।
একবার এক অনুরাগী সচিন তেন্ডুলকরকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাড়িতে কার মত অনুযায়ী কাজ হয়? সচিন জবাব দেন, 'বাড়িতে কার শাসন চলে, সে ব্যাপারে কোনও প্রশ্নই নেই। অঞ্জলিকে জিজ্ঞাসা করুন।'
এবারের জন্মদিন সচিন তেন্ডুলকরের কাছে আলাদা। এই জন্মদিন পালন করতে স্ত্রী অঞ্জলি ও মেয়ে সারাকে নিয়ে গোয়ায় গিয়েছেন সচিন। এখন সেখানেই আছেন তাঁরা।
সচিন তেন্ডুলকরের ছেলে অর্জুন তেন্ডুলকর এখন আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলতে ব্যস্ত। সেই কারণে তিনি বাবার সঙ্গে গোয়া যাননি। ওয়াংখেড়েতে সচিনের কেক কাটার সময় পাশে ছিলেন অর্জুন।
সোমবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজোড়া ছবি পোস্ট করেন সচিন তেন্ডুলকর। সেই পোস্টে দেখা যায়, তিনি চায়ের কাপ হাতে স্যুইমিং পুলের ধারে বসে আছেন।
তেলঙ্গানার বিখ্যাত শিল্পী ভেলদি হরিপ্রসাদ হ্যান্ডলুমে সচিন তেন্ডুলকর ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলির ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। ১৭০ গ্রাম রুপোর জরি ও সিল্ক দিয়ে ছবি ফুটিয়ে তুলতে সময় লেগেছে ২০ দিন।
তেলঙ্গানার শিল্পী ভেলদি হরিপ্রসাদ ক্রিকেট খেলাও ভালোবাসেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকরের অনুরাগী। সেই কারণেই সচিন ও তাঁর স্ত্রীর ছবি হ্যান্ডলুমে ফুটিয়ে তুলতে পেরে তিনি খুশি।
৫০ বছরের জন্মদিনে সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পাচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ।
আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মেন্টর সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর ফিটনেস এখনও আগের মতোই আছে। ফলে বয়স ৫০ বছর হলেও, সচিনের শরীরে কোনওরকম জড়তা নেই।