উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারী বৃষ্টির ফলে জলে ডুবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা! এরপরেও এই অবস্থায় আরও এক লাখ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিসি।
এদিকে, বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না-হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলাকেও সতর্ক করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন। লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি আরও জল ছাড়লে বাংলার একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শুক্রবার জল ছাড়া হয়েছিলো প্রায় ২০ হাজার কিউসেকের বেশি।
যদিও এদিন ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও বিপদসীমার উর্ধে যায়নি। ব্যারেজের নিম্নভাগে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা এখনও নেই বলে জানা গিয়েছে ডিভিসি সূত্রে।
জানা গিয়েছে গত ৪৮ ঘণ্টায় ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়েছে। আর তা রাজ্যকে না জানিয়েই ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যেই আগামী পাঁচ এবং ৬ অগাস্ট ভরা কোটাল রয়েছে।
ফলে হুগলি, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, গোঘাট, খানাকুল, আমতা এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গত দুদিনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রায় ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।