সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে জেলা নেতৃত্বকে আবেদন
- পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন সদস্যের চিঠি মৌসম নূরের কাছে
- বিজেপির দাবি ভয় দেখিয়ে দল ভাঙছে তৃণমূল
- নির্বাচনের ফলের পরেই ঘরওয়াপসির হিড়িক
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে জেলা নেতৃত্বকে আবেদন জানালেন মালদহের রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন সদস্য। এজন্য জেলা সভানেত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৮ জন সদস্য দল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, এই বিষয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দাবি জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসুম বেনজির নূরের। তিনি বলেন, ১৮ জন সদস্য দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। দলীয় স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে এই ঘরওয়াপসির বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছে না বিজেপি। তাঁদের দাবি তৃণমূল ভয় দেখিয়ে এদের দলে টানছে। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ভয় দেখিয়ে তৃণমূল এইসব কাজ করছে। আমরা কাউকে জোর করে ধরে নিয়ে আসিনি। জোর করে ধরে রাখতেও চাইনা। তবে বিজেপিতে থাকলে সম্মানের সাথে তারা কাজ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬ টি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ও চারটি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে ওই চার কংগ্রেস সদস্যও তৃণমূলের নাম লেখান। বিরোধী-শূন্য হয়ে পড়ে রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল। কিন্তু ভোট পর্ব শেষ হতেই ফের দলবদলের হিড়িক।
দলে ফিরতে চেয়ে জেলার তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরকে চিঠি দেন দলত্যাগী ওই ১৮ জন সদস্য। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শুভম সরকার বলেন, ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম। বুঝতে পেরেছি। আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে চাই। তাই জেলা সভানেত্রী ও বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছি। তবে একবার দল ত্যাগ করার পর ফের দলে ফিরে আসাকে সমর্থন করছেন না জেলা তৃণমূলের একাংশ।