সংক্ষিপ্ত

  • মোদী সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ জন-ধন যোজনা
  • পেনশন ভোগীদের জন্য মোদীর অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প অটল পেনশন যোজনা
  • দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলির জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বল যোজনা
  • মোদী সরকারের গোল্ড মনেটাইজেশন স্কিমও অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প 

শামিকা মাইতি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায়শই বলে থাকেন, তিনি দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়েছেন এবং দরিদ্র ভারতবাসীর লড়াইয়ের কষ্ট জানেন। তাই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তিনি দায়বদ্ধ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্পগুলি চালু করেছে, তাতে মোদীর এই দায়বদ্ধতার ছাপ স্পষ্ট।

আরও পড়ুন-মমতার সম্পর্কে ধারণা বদলালেন মিঠুন, টুইটারে ভাইরাল 'পিসি' হ্যাশট্যাগে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ...

প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা:

প্রান্তিক ও দরিদ্র দেশবাসীর আর্থিক উন্নয়নের জন্য মোদী সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ জন-ধন যোজনা। শ্রেণি-ধর্ম  নির্বিশেষে সকলের ন্যূনতম একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে এই প্রকল্পটির ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। জিরো ব্যালেন্সে অর্থাৎ কোনও টাকা না দিয়েই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। যতটা সম্ভব কম কাগজপত্র লাগে। সর্বোপরি ঝুটঝামেলা নেই বললে চলে। অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গেই দেওয়া হয় ডেবিট কার্ড, যাতে এটিএম থেকে টাকা তোলায় কোনও অসুবিধা না হয়। আর রয়েছে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্রি অ্যাকসিডেন্ট ইনস্যুরেন্স কভারেজ।   

আরও পড়ুন-'দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল-তাই প্রার্থী করিনি', বিস্ফোরক মমতা...

অটল পেনশন যোজনা:

অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের কথা ভেবে এই প্রকল্পটি চালু করা হয় ২০১৫ সালে। এটি মোদী সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প। ১৮-৪০ বছর বয়সী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন যে কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। মাসিক এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে। শুধু তাই নয় উপভোক্তার মৃত্যুর পরে তার জীবনসঙ্গী ওই পেনশন পাবে এবং কোনও কারণে দু’জনেরই মৃত্যু হলে পেনশনের জন্য বরাদ্দ পুরো টাকা নমিনি পেয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বল যোজনা:

গোবর, গুল আর কাঠের জ্বালানি ছেড়ে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলি যাতে গ্যাসের সুবিধা পেতে পারে তার জন্য ২০১৬ সালের মে মাসে এই প্রকল্পটির সূচনা করা হয়। বিপিএল পরিবারপিছু এক জন মহিলার নামে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। সংযোগের ১৬০০ টাকা (প্রেশার রেগুলেটর ও সিলিন্ডারের সিকিউরিটি ডিপোজিট, সুরক্ষা পাইপ, গ্যাস সংযোগ, ডিজিসিসি বুকলেট) দেবে কেন্দ্র। গ্রাহককে ওভেন আর সিলিন্ডার কিনতে হবে। সেই টাকাও ভর্তুকির টাকা থেকে কিস্তিতে মেটানোর সুযোগ মেলে। প্রথম ৬টি সিলিন্ডারের ভর্তুকি ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। সপ্তম থেকে ঋণের কিস্তি শোধ শুরু। রেশন কার্ড, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভিত্তিতে ৮ কোটি পরিবারে গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। কিন্তু তার সাত মাস আগেই সেই লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডেন গ্যাস, ভারত গ্যাস এবং এইচপি।  

 

প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা:

মুদ্রা অর্থাৎ এমইউডিআরএ, পুরো কথাটা হল মাইক্রো ইউনিটস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রিফিন্যান্স এজেন্সি লিমিটেড। ২০১৬ সালের বাজেটে এই প্রকল্পটির সূচনা করা হয়। ক্ষুদ্ধ ও অতিক্ষুদ্র শিল্প ঋণ দেয় এমন মাইক্রো ফিন্যান্স সংস্থাগুলিকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় সরকারি এই 

গোল্ড মনেটাইজেশন স্কিম:

আমাদের দেশে সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসাবে সোনা বরাবর জনপ্রিয়। তাই সোনাতে বিনিয়োগ করে সঞ্চয়ের উদ্দেশে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্পের সূচনা করে মোদী সরকার। গোল্ড ডিপোজিট স্কিম ও গোল্ড মেটাল লোন স্কিম নামে যে দু’টি প্রকল্প চালু ছিল আগে, সেগুলিকেই ঠিকঠাক করে নতুন এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।