সংক্ষিপ্ত
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্ত্বর থেকে উদ্ধার হল বিস্ফোরক। কারা কীভাবে তা ওখানে রাখল, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রবিবার, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্ত্বর থেকে উদ্ধার হল বিস্ফোরক। আরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার এজি ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ছিট কী ধরণের বিস্ফোরক ছিল তা তিনি বলতে পারেননি। জানিয়েছেন, সেই বিষয়টি বম্ব স্কোয়ার্ডই বলতে পারবে। তবে, বিপদের আশঙ্কা নেই, কারণ বিস্ফোরকটি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্ত্বরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মজরে আসে একটি গোলাকার বস্তু। যে রাস্তাটি দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করেন, ঠিক তার পাশেই একটি নালার মধ্যে পড়ে ছিল গোলাকার লাল বলের মতো বস্তুটি। স্বাভাবিকভাবেই সেটিকে কেন্দ্র করে তীব্র বোমাতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকায়। খবর যায় কর্তৃপক্ষের কাছে।
রেলের আধিকারিক ও বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা সেই গোলাকার বস্তুটিকে উদ্ধার করে। একটি ট্রলির উপর একটি জলভর্তি ড্রাম আনা হয়। সুরক্ষা পোশাক পরে বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের এক র্কমী সেটিকে তুলে ওই ড্রামের জলে রাখেন। এরপর ট্রলিসহ সেটিকে স্টেশন সংলগ্ন একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে যাওগা হয়। সেখানেই বস্তুটিকে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
"
ইতিমধ্য়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআইডি, বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এবং দমকল বাহিনী। বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটই জানিয়েছে, গোলাকার বস্তুটি সত্য়িই বিস্ফোরক। তবে সেটি শুধুই বিস্ফোরক, না তাতে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো ট্রিগারও ছিল, সেই বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়। বম্ব বিস্পোজাল ইউনিটের পক্ষ থেকে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে, সেটিকে অতি সাবধানতার সঙ্গে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এতে এখনকার মতো বিপদ কাটলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক দূর হয়নি।
আরও পড়ুন - 75th Independence Day - জঙ্গির বাবা তুললেন জাতীয় পতাকা, বড় পরিবর্তন জম্মু-কাশ্মীরে
আরও পড়ুন - সত্যিই কি ভারতের আগে স্বাধীন হয়েছিল পাকিস্তান, কেন তারা একদিন আগে এই দিনটি উদযাপন করে
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশের মতো নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্ত্বরেও আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল গত কয়েকদিন ধরেই। প্রশ্ন উঠছে, তার মধ্য়েই কীভাবে কেউ বা কারা ওই বিস্ফোরক ফেলে গেল? কারাই বা তা ফেলে গেল? এখনও অবধি কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বা উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কোনও রকম দায় স্বীকার করেনি। এদিনের মতো বিপদ কাটলেও, ভবিষ্যতে যে এমনটা আবার ঘটবে না, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না এলাকাবাসী।