সংক্ষিপ্ত

১৯৩০ সালে পুরুলিয়ার ঝালদার এক মাঠেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর প্রথম গুলি চালিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ। সেই মাঠেই জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব পালন করল স্বতন্ত্রতা সেনানী ও শহীদ সন্মান দিবস। 
 

সময়টা ১৯৩০ সাল। তখনও পুরুলিয়া জেলার জন্ম হয়নি। বর্তমান পুরুলিয়া জেলা সেইসময় পরাধীন ভারতবর্ষে বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার অধীনে। সেইসময় পুরুলিয়ার ঝালদার সত্য মেলা প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর গুলি চালিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ। শহিদ হয়েছিলেন সত্য কিঙ্কর দত্ত, গণেশ মাহাতো, শীতল মাহাতো, সহদেব মাহাতো, গোকুল মাহাতো এবং মোহন মাহাতো। সেটাই ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর ব্রিটিশ পুলিশের প্রথম গুলি চালানোর ঘটনা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে, শনিবার এই ঐতিহাসিক মাঠেই জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব পালন করল স্বতন্ত্রতা সেনানী ও শহীদ সন্মান দিবস। 

জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানালো পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস। সেই দিনের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে সম্বর্ধনা দেওয়া হল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের সদস্যদের। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে পুরুলিয়ার ঝালদা সত্য  মেলা প্রাঙ্গণে পালিত হল স্বতন্ত্রতা সেনানি ও শহীদ সন্মান দিবস।

আরও পড়িন - Independence Day - চিনকে সবক শিখিয়েছিলেন, সেই ২০ জন ITBP জওয়ানরা পাচ্ছেন সাহসিকতার পুরষ্কার

আরও পড়ুন - Vehicle Scrappage Policy - কী এই নীতি, এতে করে কী লাভ হবে আমার-আপনার, জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন - Viral Video - পুলিশের সামনেই মুসলিম ব্যক্তিকে প্রহার, মেয়ের কান্নাতেও মন গলল না বজরং দলের

বাঘমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, 'ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করে শহিদ হন সত্য কিংকর দত্ত। তাঁর সঙ্গে শহীদ হয়েছিলেন গনেশ মাহাতো, শীতল মাহাতো, সহদেব মাহাতো, গোকুল মাহাতো ও মোহন মাহাতো। আমরা কংগ্রেস কমিটির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেসব জেলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জড়িত আছে, সেই সকল জেলায় স্বতন্ত্রতা সেনানী ও শহীদ সন্মান দিবস পালিত হবে। সত্য মেলা প্রাঙ্গনে তৎকালীন বিহারে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা ইতিহাতের পাতায় 'ফাস্ট ফায়ারিং ইন বিহার' নামে খ্যাত। এখানেই প্রথম ব্রিটিশ পুলিশ গুলি বর্ষন করেছিল। সেই গুলিতে শহিদ হন সত্যকিংকর-সহ আরও পাঁচ জন। তাই এই মাঠেই তাঁদের স্মরণ ও  সম্মান জানাতে এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল।

YouTube video player